Weight Gain in PCOD: পিসিওডির সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে ওজন? ডায়েট মেনে পুজোর আগেই হয়ে উঠুন তন্বী
পুজোর আগে ওজন কমান, হারান পিসিওডির সমস্যাকে
মহিলাদের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমার মধ্যে মাসিক চক্র চলে স্বাভাবিক নিয়মেই। প্রত্যেক মেয়ের শরীরে থাকা দুটি ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে বেরিয়ে আসা ডিম্বাণু মাসিক রূপে দেহ থেকে নিঃসৃত হয়। কিন্তু কোনো কারণে যদি ডিম্বাশয়ে অপরিণত বা অর্ধ পরিণত ডিম্বাণু জমতে শুরু করে তবে তা সিস্ট-এ পরিণত হয়। এই রোগকেই বলা হয় পিসিওডি। এই পিসিওডি-র সমস্যা যদি শুরু হয় তাহলে ওজন অত্যধিক হারে বেড়ে যায়। আর নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার প্রয়োজনে এই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পিসিওডি (Weight Gain in PCOD) আক্রান্ত প্রতিটি নারীকে। বর্তমান সময়ে এই পিসিওডি বহু নারীর কাছেই একটি আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আজকাল প্রতিটি নারীই চান বাড়তি মেদ ঝরিয়ে নায়িকাদের মতো তন্বী হয়ে উঠতে।
একটি সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে প্রতি পাঁচ জন মেয়ের ভিতর একজন অন্তত এই সমস্যার সম্মুখীন হন। বর্তমান সময়ের মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, বাইরের তেল-মশলাযুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া, শরীরচর্চার অনীহা ইত্যাদি কারণেই এই সমস্যাটি অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর প্রতিটি মেয়েই ভয় পান এই রোগের শিকার হলেই কোনো ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ (Weight Gain in PCOD) করা আর সম্ভব হয়না।
যদিও এই ভুল ধারণাটি ভেঙে দিয়েছেন বিখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী সারা আলী খান। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন এই পিসিওডি (Weight Gain in PCOD) সমস্যার কারণেই তার ওজন ৯৬ কেজি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলার কারণে আজ আর তার আগের চেহারায় সঙ্গে তার কোনো মিল পাওয়া যায় না। দেখে নিন কোন ডায়েট চার্ট মেনে আপনিও নিজের ওজন কমিয়ে নিতে পারেন।
১) দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য খাবার খাওয়ার মাঝের সময়ের ব্যবধান অনেক বাড়িয়ে দেন। ফলে অনেকক্ষণ পেট খালি থেকে বিপাক ক্রিয়ায় গভীর ভাবে প্রভাব ফেলে, অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দেয়। ফলে নজর রাখতে হবে দুবার খাদ্যগ্রহণের মাঝের সময়ের ব্যবধান যেনো খুব বেশি না হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে প্রাতঃরাশ টিও সেরে ফেলতে হবে।
২) শরীর সচল থাকলে তা যে কোনো রোগের ক্ষেত্রেই অত্যন্ত উপকারী।কারণ শরীরচর্চা করলে শরীরে রক্ত চলাচল সঠিক মাত্রায় হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পিসিওডির ক্ষেত্রেও যোগব্যায়াম, হাঁটাচলা করা, জগিং, সাঁতার, স্কিপিং ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওজন কমার সাথে সাথে মেদ যত কমবে এই রোগের প্রভাবও তত ম্লান হবে।
৩) এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক খাবারের দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। খাবারে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার মাত্রা কমিয়ে ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং পরিমাণ মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত তেল দিয়ে রান্না করা খাবার, অতিরিক্ত তেলযুক্ত মাছ খাওয়া বন্ধ করতে হবে। বদলে কুসুম বাদ দিয়ে শুধু ডিমের সাদা অংশ, লো ফ্যাট দুধ, ডাল, ব্রোকলি, বেরি, কফির বদলে চা, ব্রাউন ব্রেড, ব্রাউন রাইস, সাধারণ আটার রুটি ইত্যাদি খেতে হবে। এছাড়াও বেশি পরিমাণে শাক সবজি ও আম, কলা, আতা,আখ, কাঠাল বাদ দিয়ে অন্যান্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে।