দেশনিউজ

আধপেটা খেয়ে কেঁটেছে দিন, বহু কষ্ট সহ্য করে IAS অফিসার হলেন গরিব অটো চালকের ছেলে

অটো চালিয়ে দৈনিক ১০০-১৫০ টাকার বেশি আয় হত না।

Advertisement
Advertisement

মনে যদি ইচ্ছে থাকে, তাহলে হাজার প্রতিকূলতা সত্বেও এগিয়ে যাওয়া যায়। ফের এরকম ঘটনার নজির গড়ল মাত্র ২১ বছরের যুবক। গরিব পরিবারে বড়ো হয়েও হাজার প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসি’তে সফল হলেন আনসার আহমেদ শেখ। আনসারের বয়স মাত্র ২১ বছর। তিনি ২০১৫সালে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ৩৭১তম স্থান অর্জন করেছেন।

মহারাষ্ট্রের জালনা নামক এক ছোট গ্রামে বাবা,মা, দুজন ভাই ও দুজন দিদি ও আনসার থাকেন। বাবা অটো চালান। আর মা ভাগচাষীর কাজ করতেন। অটো চালিয়ে দৈনিক ১০০-১৫০ টাকার বেশি আয় হত না। বহুদিন এমন গিয়েছে যে একবারের বেশি খাবার জোটেনি। এছাড়া আনসারের পড়াশুনার টাকা জোগাড় করতে পারছিলনা তাঁর বাবা, তাই বাধ্য হয়ে একসময় আনসারের পড়াশুনা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। সংসার চালাতে না পেরে তিনি চেয়েছিলেন যে ছেলে তাঁর সাথে সংসারের হাল ধরুক। একার পক্ষে তিনি আর পেরে উঠছিলেন না।

তবে আনসার কিন্তু থামেননি। এত কষ্ট সহ্য করেও দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করার পর থেকেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। আর এই পড়াশুনার পাশে পাশেই একটি হোটেলে ওয়েটারের কাজ করেন তিনি। আর এখানে যে টাকা পেতেন, বাবা-মায়ের হাতে তা তুলে দিতেন। এরপর ২০১৫ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৩৭১ তম স্থান অর্জন করেন তিনি। এখন বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে ওএসডি অফিসার আনসার।

আনসার জানিয়েছেন যে বাবা-মা দুজনে মিলে যা আয় করতেন, তাতে সংসার একদমই চলত না। ফলে আত্মীয়রাই বাবাকে বুঝিয়েছিলেন পড়াশোনা বন্ধ করার জন্য। বাবা এরপর স্কুলে গিয়ে পড়াশুনা বন্ধের কথা শিক্ষকদের জানালে তারা বাবাকে বুঝিয়েছিলেন পড়াশোনা বন্ধ করাটা ঠিক হবে না। তাই বাবা কষ্ট করেও পড়াশুনা চালিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

Related Articles