সাধারণত টলিউড তারকারা খুব সাবধানে কথা বলেন কারণ ক্যামেরার নজর সবসময় তাদের দিকেই থাকে। তাই তারা সব সময় নিজেদের ভালো ইমেজ বজায় রাখার জন্য ক্যামেরার সামনে সর্বদাই মিষ্টভাষী থাকেন। টলিপাড়ার বিভিন্ন অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের মধ্যে যতই ঝগড়া, রেষারেষি থাকুক না কেনো, বাইরে থেকে তা বোঝা একপ্রকার অসম্ভব। না হলেই যে খবরের কাগজের শিরোনামে উঠে আসবে সব পরদিনই।
টলিপাড়ার একজন জনপ্রিয় মুখ হল আবির চট্টোপাধ্যায় তিনি অগণিত ভক্তদের হৃদয়ের বাস করেন। আবীর হলো টলিউডে ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ তারকাদের মধ্যে একজন। কিন্তু তিনি যে ‘রক্তবীজ’ শুটিংয়ের পর সহঅভিনেত্রী মিমিকে নিয়ে এই মন্তব্য করবেন তা কল্পনাতীত।
টলিউডে ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ তারকাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেতা আবীর এবার তার নিজের স্বভাবের বাইরে গিয়ে একটা বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছেন। পলিটিক্যালি কারেক্ট হওয়ার কারণে তার কোনো শত্রু নেই বলেও লোকে মন্তব্য করে থাকেন। বড়পর্দায় যাকে কয়েকবার আমরা ব্যোমকেশ রূপে দেখেছি এবার তাকে দেখতে চলেছি এক দুঁদে আইপিএস অফিসারের চরিত্রে।
ছবির নাম ‘রক্তবীজ’ (Raktabeej), পরিচালনায় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়। এই ছবিতে প্রথমবার পর্দায় জুটি বেঁধেছেন আবীর ও সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু প্রথমবার একসাথে কাজ করেই আবীর মন্তব্য করেছেন ‘‘মিমি এমন, যাকে সহজে হজম করা যায় !’’
সাংসদ অভিনেত্রী মিমি সবসময় স্পষ্ট কথা বলতে ভালোবাসেন। পর্দায় ও বাস্তবে এই ডাকাবুকো ভাবমূর্তিধারী অভিনেত্রীর খুব একটা পার্থক্য লক্ষ করা যায় না। তবে বলাবাহুল্য আবীর মিমিকে নিয়ে এই মন্তব্য টি করেছেন নিছকই মজা করার জন্য। সম্প্রতি একটি মজার আড্ডায় বসেছিলেন ‘রক্তবীজ’ ছবির দুই অভিনেতা আবীর এবং ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় আর সেখানেই তারা ছবির অভিনেতা- অভিনেত্রীদের বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেন।
আবীর, মিমিকে তুলনা করেছেন পোলাও ও খাসির মাংসের সঙ্গে। তিনি বলেছেন ‘‘মিমি হল পোলাও-খাসির মাংসের যুগলবন্দি, খেতে অনবদ্য। তবে হজম করতে না পারলে চাপ আছে।’’ আবীরের পাশে থাকা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুচকি হেসে তার কথাকে সমর্থন করেন। বর্ষীয়ান অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় আবার আবীরকে রেজালার সাথে তুলনা করেছেন আর আবীর আবার তাকে তুলনা করেছেন দার্জিলিং চায়ের আভিজাত্যের সঙ্গে।