করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন ধরে যে লকডাউন চলছিল তার জন্য যানবাহন থেকে শুরু করে অফিস, আদালত সমস্ত কিছুই বন্ধ ছিল। আর মন্দির এবং মসজিদগুলোতে যে পরিমাণ ভক্তদের সমাগম হয় তা রুখতে বন্ধ রাখা হয়েছিল মন্দির এবং মসজিদগুলোও। যার জন্য ভগবানের সাথে ভক্তদের সাক্ষাৎ হয়নি। কিন্তু আনলক১ ঘোষণার পর এক এক করে সমস্ত মন্দির এবং মসজিদ খোলা হচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরে আছে পশুপতিনাথ মন্দির। শোনা যায়, মহিলাদের ভিড়ে সবসময়ই হইহই করে এই মন্দির চত্বর। কিন্তু লকডাউন এর জন্য পুরো খালি ছিল মন্দির। এবার মন্দির খোলা হলেও মন্দিরে সামাজিক দূরত্ব বা করোনা রুখতে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে একটি হল, যেহেতু মন্দিরে প্রতিদিন বহু মানুষের আগমন ঘটে তাই মন্দিরের ঘণ্টা বাজালে সেইখান থেকে করোনা সংক্রমণ হতে পারে ভেবে মন্দিরের ঘণ্টা বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মন্দির কতৃপক্ষ। মন্দিরে এসে ভগবানের উদ্দেশ্যে ঘণ্টা বাজাতে না পেরে ভক্তদের মনে হতাশার সৃষ্টি হচ্ছিল।
তারপর মন্দির কতৃপক্ষ ভক্তদের কথা মাথায় রেখে এক অভিনব পন্থা বার করলেন। মন্দির কতৃপক্ষ এর পক্ষ থেকে মন্দিরে সেন্সরযুক্ত একটি ঘণ্টা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই বিশেষ ঘণ্টার সুবিধা হল এই ঘন্টার কাছে হাত নিয়ে গেলেই তা বাজতে থাকে, আর হাত সরালেই ঘণ্টা বাজা বন্ধ হয়ে যায়।
এক মুসলিম প্রৌঢ়, নাহরু খান মন্দিরের জন্য সেন্সরযুক্ত এই ঘন্টাটি তৈরি করেন। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র থেকে। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘণ্টাটি তৈরিতে ৬,০০০ টাকা খরচ হয়েছে এবং তিনি এটি মন্দিরের জন্য দান করেছেন। তার কথায়,‘তিনি মন্দির, মসজিদ খোলার কথা শুনে ভাবেন মসজিদে আজান দেওয়ায় যখন কোনও বাধা নেই, তখন আমার মনে হয় মন্দিরেও ঘণ্টা বাজানো উচিত। তাই ইন্দোর থেকে একটা সেন্সর আনানোর ব্যাবস্থা করি। তারপর ঘণ্টাটি আমার কারখানায় তৈরি করি।’