ট্রেন আসার আধঘন্টা বা কয়েক মিনিট আগে গিয়ে হুরমুর করে টিকিট কাটা, তার ওপর ট্রেন আসতেই একসঙ্গে ভীড় ঠেলে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা, জায়গার জন্য ধাক্কাধাক্কি এই চিত্রটা বোধহয় সকলেরই চেনা। কিছুদিন হলো লকডাউনের চক্করে রেহাই মিলেছে সেখান থেকে। সব যদি ঠিক থাকে তাহলে 3 মে লকডাউন এর শেষ দিন তারপর থেকে আবার ওই রেলযাত্রা করতে পারবেন যাত্রীরা কিন্তু আগের মত একই রকম থাকবে কি রেল পরিষেবা? আবার এই চিত্রটা ফিরে আসতে চলেছে?
না আগের মত রেল সফর চলবে না এবার থেকে দেশে রেলওয়ে স্টেশন গুলি হয়ে যাবে এয়ারপোর্ট এর মত। লকডাউন উঠে গেলে ট্রেন ধরার জন্য যাত্রীদের কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে পৌঁছে যেতে হবে স্টেশনে। টিকিট কাটতে হবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনে এবং এক মিটার দূরত্ব অবলম্বন করতে হবে।
তারই সঙ্গে চলবে ব্যাগ চেকিং থার্মাল স্ক্রীনিং এমনকি থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের আগে স্যানিটাইজ করানো হবে যাত্রীদের। যাত্রীর শারীরিক অবস্থা খুঁটিনাটি সবই নথিভূক্ত করা হবে আর তার পরেই ট্রেনে উঠতে পারবেন যাত্রীরা। অর্থাৎ স্টেশনে পা রাখার সময় থেকেই সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলতে হবে যাত্রীদের। টিকিট কাটা থেকে শুরু করে ট্রেনে ওঠা অব্দি সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন চলবে। ইতিমধ্যেই জবলপুর রেলওয়ে স্টেশনে এর একটা মহড়াও দেখানো হয়েছে, সেখানে রেল এবং জিআরপি কর্মীরা কিভাবে লকডাউন পরবর্তী রেল সফর করবেন তা হাতেনাতে করে দেখিয়েছেন