মলয় দে নদীয়া:- লকডাউন সবাই কর্মবিরতি নিলেও পরিপাকতন্ত্রের বিরাম নেই। অভিজ্ঞদের মতে, এ সময় চাল-ডাল নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য বিতরণ এর হিড়িক , শুধুমাত্র আবেগের কারণে মানসিক তৃপ্তির কারণে। প্রকৃতপক্ষেই যখন প্রয়োজন হবে তখন মিলবে না চাল , ব্যক্তিগত সহযোগিতা দূরে থাক হয়তো বা বাজার দরের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
করিমপুর তেহটটো, বাদকুল্লা, দত্তফুলিয়া, চাকদা ধানতলা সহ জেলার সহস্রাধিক ধান ও চাল কল বন্ধ। জেলার বিভিন্ন গণপরিবহন মাধ্যম বন্ধ হওয়ায় ধান আমদানি বন্ধ হয়ে রয়েছে। ধান সিদ্ধ শুকনো না হলে চালই বা হবে কোথা থেকে? অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে আইনি বাধা না থাকলেও পূর্ব মেদিনীপুর ,বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ থেকে ধান আমদানি বন্ধ ফলে চাল মিলগুলো কার্যত কারখানা লগআউটের চেহারা নিয়েছে।
লকডাউনের ফলে জেলার এতগুলি ধানকল, ও চালের মিল বন্ধ থাকায় বাড়ছে সংশয়। প্রত্যেক শ্রমিকের শ্রম দিবস নষ্ট হওয়ায়, এই বড় মাপের ঘাটতি পূরণ করতে কতদিন লাগবে তা বোঝা মুশকিল।