দেশের খাদ্য সঙ্কট দূর করতে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এ সিদ্ধান্তে বলা হয়, যাঁদের ডিজিটাল কার্ড নেই বা কার্ডের জন্য আবেদন করেননি অথবা বহুদিন খাদ্যসামগ্রী তোলননি, তারাও রেশন সামগ্রী পাবেন। অর্থাৎ সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষের জন্যই থাকছে রেশন ব্যবস্থা। গত বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকের এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনার জেরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি কর্মসংস্থান। বন্দিদশা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে দেশের মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে যাদের জমানো পুঁজি রয়েছে তাঁরা চিন্তামুক্ত থাকলেও, দেশের দিনমজুরদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। কাজ না থাকায় তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে তাঁরা। এ পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেই রাজ্যের সমগ্র শ্রেণীর মানুষকে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই দুর্দিনে কোন মানুষকে যাতে খাদ্য সঙ্কটে পড়তে না হয় তার জন্য খাদ্য সামগ্রীর পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ২ কিলো চাল ও ১ কিলো আটার পরিবর্তে প্রত্যেক রেশন কার্ড পিছু ৫ কিলো করে চাল দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। রাজ্যে এরকম বহু মানুষ আছে যারা দীর্ঘদিন ধরে কোনরকম রেশন সামগ্রী তোলেনি। রাজ্য সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত সেই তাঁরাও এবার থেকে রেশন পাবে।
তবে সে ক্ষেত্রে সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর সরকারের তরফ থেকে একটি কুপন দেওয়া হবে গ্রাহককে। ওই কুপনটি দেখালেই গ্রাহক রেশন থেকে খাদ্য সামগ্রী তুলতে পারবে। এই ব্যবস্থা রাজ্যের একটি বিশাল অঙ্কের মানুষের সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার মানুষের সুবিধার্থে একাধিক পদক্ষেপ নিলেও রেশন নিয়ে অনেক জায়গায় দুর্নীতি চলছে। রাজ্য সরকারের কানে এই খবর এসেছে। বেশ কিছু জায়গায় গ্রাহকরা কম রেশন পাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও রেশন দেওয়া হচ্ছে না। এই ব্যাপারগুলি খতিয়ে দেখবে রাজ্য প্রশাসন ব্যবস্থা। এমনটাও জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।