ক্রমাগত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এর জন্য প্রবল অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্তরা। টানা ২৪ দিন ধরে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েই চলেছে। এবার এর প্রভাব ট্রাক মালিকদের ওপরও দেখা গেল। ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক ওনার এন্ড অপারেটর অ্যাসসিয়েশন-এর রাজ্য প্রধান সজল ঘোষ বলেছেন যে, জ্বালানি তেলের দাম মাত্রাছাড়া হবার কারণে ট্রাক মালিকরা লাভ পাচ্ছেন না। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে ট্রাক মালিকরা জানিয়েছে, যদি তেলের দাম আগস্ট মাস থেকে না কমানো হয় তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেবে তারা।
লকডাউনের কারণে তেলের চাহিদা কম থাকায় তেলের দামবৃদ্ধি বন্ধ ছিল। আনলক-১ ঘোষণার পর তেলের চাহিদা ৭০% বৃদ্ধি পেয়েছে তাই জ্বালানি তেলের দাম বেড়েই চলেছে। এই নিয়ে টানা ২৪ দিন বৃদ্ধি পেল পেট্রল-ডিজেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার পরেও দেশের তেল কোম্পানিগুলো ক্রমাগত তেলের দাম বৃদ্ধি করেই চলেছে। দিল্লিতে ডিজেলের দাম পেট্রোলের দামকে ছাপিয়ে গেছে।
লকডাউনে বাস,ট্রেন বন্ধ থাকলেও দেশের পণ্য ব্যাবস্থাকে সচল রাখার জন্য লকডাউন এর মধ্যেও চলেছে ট্রাক। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য তেমন বৃদ্ধি হয়নি। কিন্তু এবার যদি ট্রাক মালিকরা ধর্মঘটে বসে তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য লাগামছাড়া হবে। দেশে ট্রাক চলে প্রায় ৬ লক্ষ। কিন্তু এরমধ্যে ২ লক্ষ ৪০ হাজার এর মতো ট্রাক চলছে। বাকিসব বসে গিয়েছে।
এই করোনা পরিস্থিতিতে ট্রাক চালানোর জন্য চালক থেকে শুরু খালাসি সবাইকে বেশি বেতন দিতে হচ্ছে ট্রাক মালিকদের। তাই দিন দিন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি তাদের কাছে একটা বিরাট ধাক্কা। এর কারণে তাদের লাভের পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে। সারাদেশে মোট ৩৬ টি ট্রাক মালিক সংগঠন রয়েছে। এরা সবাই জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করীর কাছে চিঠি লিখেছে। এই চিঠিতে পরিষ্কার বলা আছে তেলের দাম না কমালে আগস্ট মাস থেকে দেশজুড়ে বন্ধ থাকবে সমস্ত ট্রাক। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দেবে।