একদিকে করোনা অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। একসঙ্গে দুটোকে সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। করোনা আতঙ্কের মাঝেই কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গোটা রাজ্যকে নড়িয়ে দিয়েছিলো ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। তার জেরেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ ঘর-বাড়ি, ফসল আরো অনেক কিছু। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার নৌকা। যে নৌকা ছোটো ছোটো মৎসজীবীদের পেট চালায়। এবার তাদের উদ্দেশ্যই মমতার ঘোষনা।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে, সরকার যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে। ২৯ শে মে মমতা ব্যানার্জি, আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষনা করেন। আর ঘোষনা করার সঙ্গে সঙ্গেই এক লাখ মানুষের একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর তার ঠিক চারদিনের মাথায় গতকাল ২রা জুন ৫ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে বাড়ি সারানোর টাকা। প্রায় ২৩ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দেওয়া হয়েছে ফসল খয়রাতির টাকা। দেওয়া হয়েছে, ২ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষির টাকা।
আর এবারের ঘোষনা মৎসজীবীদের জন্য। মমতা জানান, ‘আমফানের ফলে অনেক নৌকার ক্ষতি হয়েছে। যাদের ছোটো নৌকা ভেঙে গিয়েছে, তাদের মৎস দপ্তরের তরফে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।” মমতার এই ঘোষণার ফলে উপকৃত হবেন অনেক অনেক মৎসজীবী ও নৌকা যাদের জীবিকা সেই সকল মানুষেরা। এছাড়াও মমতা জানান যে, আগামী ৫ ই জুন থেকে সুন্দরবনে মোট ৫ কোটি ম্যানগ্ৰোভ গাছ লাগানোর কাজ শুরু হবে।