গুপ্তধন এর সন্ধান এর সূত্র যদি কোনো মানুষ খুঁজে পায় তাহলে তার মনে লোভ বা লালসা সৃষ্টি হবেই সেটা অস্বীকার কেউ করতে পারবেন না। বিখ্যাত শিল্প ও পুরাকীর্তি সংগ্রাহক ফরেস্ট ফেন গত দশ বছর আগে প্রচুর সোনাদানা, হীরেমুক্তো ছাড়াও সোনার তৈরি প্রাগৈতিহাসিক আয়না, জেড পাথর ও পুরনো চুনি, পান্না এবং একাধিক ঐতিহাসিক জিনিস একটি ব্রোঞ্জের সিন্দুকে ভরে রকি পর্বতমালায় লুকিয়ে এসেছিলেন।
ফেন এর আত্মজীবনী ‘দ্য থ্রিল অফ দ্য চেজ’ ২০১০ সালে প্রকাশ পায়। ফেন তার আত্মজীবনীতে রকি পর্বতে রেখে আসা তার গুপধনের রহস্য উন্মোচন করার জন্য ২৪ লাইন এর একটি কবিতা লেখেন। আর তারপর থেকেই গুপ্তধন সন্ধানের লালসা জন্মায় হাজার হাজার মার্কিনীর এবং তারা নিজেদের জীবনের বেশিরভাগ সময় লাগিয়ে দেন শাবল গাঁইতী এই গুপ্তধনের সন্ধান করতে করতে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গুপ্তধন এর সন্ধান করার জন্য বহু মানুষ তাদের চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিল এবং এই রহস্য উন্মোচন এর চক্করে ৪ জন মারাও গেছেন। অবশেষে এই গুপ্তধনের সন্ধানে ইতি টানলেন এক ব্যাক্তি। এই ব্যাক্তি রকি পর্বতমালা তন্ন তন্ন করে খুঁজে শেষমেশ আবিষ্কার করে ফেললেন গুপ্তধনের রহস্য। যে ব্রোঞ্জের সিন্দুকে যে পরিমাণ গুপ্তধন ছিল তার মার্কিন মূল্য প্রায় ১০ হাজার মার্কিন ডলার এমনটাই জানা গিয়েছে। যে ব্যাক্তিটি গুপ্তধন খুঁজে পেয়েছেন তিনি তার নাম প্রকাশ্যে আনতে অস্বীকার করেছেন।
ওই ব্যাক্তি ফেনকে অনলাইনের মাধ্যমে ফেনকে গুপ্তধনের ছবি পাঠান। যা দেখে ফেন বুঝতে পারে যে তার গুপ্তধন ১০ বছর পর আবিষ্কার হয়েছে। ফেন এই ব্যাপারে বলেছেন, তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে গুপ্তধনের নেশা ধরিয়ে তাদের জঙ্গলের পথে নিয়ে যাওয়া। সাধারণত মানুষের জঙ্গল বা অরণ্যের প্রতি ভালোবাসা অনেক কমে গিয়েছে।
ফেন এর গুপ্তধন আবিষ্কারে তার কেমন লাগছে জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, আমি একদিকে খুশি আবার অপরদিকে দিকে দুঃখী কারণ যে গুপ্তধনের রহস্য উন্মোচন করার জন্য মানুষের মনে একটা চাহিদার সৃষ্টি হয়েছিল তার অবসান ঘটলো।