ভয়ানক অগ্নুৎপাতের সম্মুখীন হতে চলেছে পৃথিবী! স্পষ্ট কারণ প্রকাশ গবেষণায়
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন এই ধাক্কা এখন কবে সামলে উঠতে পারবে তা অনিশ্চিত। কিন্তু তারই মধ্যে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য যা বিজ্ঞানীদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে। দেখার দিচ্ছে অন্য আশঙ্কা।
এপ্রিল, মে মাস এলেই সূর্যের গনগনে তাপ দেখি আমরা। কিন্তু কিছুদিন আগে জার্মানির ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের দাবী করেছেন যে ক্রমশ সূর্যের পেয়েছ উজ্জলতা কমছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আরেকটি দাবি করেছেন যে সূর্যপৃষ্ঠের উপরে ঘটে চলা ক্রিয়া-কলাপ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে অর্থাৎ সূর্যেও লকডাউন পর্ব শুরু হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডক্টর টনি ফিলিপস জানান, ‘সোলার মিনিমাম’ পর্ব শুরু হয়েছে। সূর্যের শরীরের সৌর কলঙ্ক এর চিহ্ন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে চুম্বকীয় ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। ফলে মহাজাগতিক রশ্মি অতিরিক্ত মাত্রায় সৌরজগতের প্রবেশ করছে।
তিনি উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছেন এই সোলার মিনিমাম এর প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতেও। খরা, তীব্র শীত, অগ্নুৎপাত বা ভয়ংকর ভূমিকম্পের ঘটনা বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে পৃথিবীতে সম্মুখীন হতে পারে ডালটন মিনিমাম এর মতো ভয়ঙ্কর পর্বে। প্রসঙ্গত সৌর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এমনই সোলার মিনিমাম এর প্রভাবে 1815 সালের 10 এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট টাম্বোরাতে হওয়া ভয়ঙ্কর অগ্নুপাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন 71 হাজার মানুষ। এর পরের বছরই বিনা গ্রীষ্মের বছর দেখেছিল পৃথিবী, জুলাই মাসে বিশ্বের বহু জায়গায় বরফ পড়েছিল। যা ডালটন মিনিমাম নামে পরিচিত।