করোনার জেরে মার্চ মাসের ২৪ তারিখ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। সেই থেকে টানা চলছে লকডাউন। বর্তমানে চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন। হিরনের চির সমস্ত কর্মসংস্থান বন্ধ থাকায় টান পড়েছে রাজকোষে। এই প্রভাব পড়তে চলেছে তেলেঙ্গানার সরকারি কর্মচারীদের বেতনে। জানা গিয়েছে এত পরিমাণ আর্থিক সঙ্কট সামাল দিতে চলতি মে মাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অর্ধেক বেতন কেটে নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।
তেলেঙ্গানা রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, লকডাউন হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রতিমাসে তেলেঙ্গানা সরকারের ন্যূনতম আয় ছিল ১২,০০০ কোটি। মার্চ মাস থেকে শুরু হয় সেই রোজগার গিয়ে ঠেকেছে তলানীতে। এখন প্রতিমাসে সরকারের কোষাগারে ঢুকছে মাত্র ৩,১০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে আবার ৯৮২ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় করের অংশীদার। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, ‘প্রতিমাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন এবং পেনশন দিতে গেলে সরকারের ৩,০০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়। এর ফলে শূন্য হয়ে যেতে পারে রাজকোষ। তখন রাজ্যের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের একটি কার্যকরী কৌশল গ্রহণ করতে হয়েছে’।
রাজ্যের অর্থনৈতিক সঙ্কট দূর করে রাজকোষ সামাল দিতে এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনের অর্ধেক কেটে নেওয়া হবে এবং বাকি টাকা তারা হাতে পাবে বলে জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এই কথা প্রকাশিত হতেই মাথায় হাত সরকারি কর্মচারীদের। শুধু চলতি কর্মচারীরাই নয়, রেহাই নেই অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশনের ২৫% কেটে নেবে তেলেঙ্গানা সরকার। আউট সোর্সিং এবং ঠিকাকর্মীদের ক্ষেত্রে কেটে নেওয়া হবে প্রাপ্য অর্থের ১০ শতাংশ। তবে শুধু সরকারি কর্মচারীরাই নয়, জনপ্রতিনিধি এবং আইএএস, আইপিএস-এর মতো অল ইন্ডিয়া সার্ভিস অফিসারদের বেতনেও কোপ পড়তে চলেছে। জনপ্রতিনিধিদের বেতনের ৭৫ শতাংশ এবং অল ইন্ডিয়া সার্ভিস অফিসারদের বেতনের ৬০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেলেঙ্গানা সরকার।