বর্তমান তরুণ সমাজ আজ স্মার্টফোন ফোন বলতেই অজ্ঞান। সকালের শুরু থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত তাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী এই ফোন। ভারতে এখন স্মার্টফোনের বাজার খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। ভারতে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো কোম্পানি কম দামে নতুন সব ফিচার নিয়ে লঞ্চ করছে নতুন নতুন স্মার্টফোন।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ইন্টারনেট দুনিয়া হাতের মুঠোয় চলে আসায় স্মার্টফোনের ইউজার অনেকগুনে বেড়েছে। আইসিইএ অর্থাৎ ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ৮৩ কোটি ছুঁয়ে ফেলবে। অনেকের ধারণা ভারতে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও অত্যন্ত কম খরচে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কারণেই ভারতে স্মার্টফোন এর চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘গ্রামীণ ভারতে ২০১৫ সালে স্মার্টফোনের অনুপ্রবেশ ঘটে। তারপর ২০১৮ সালের মধ্যে সেটি ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে’। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাবহার করা মানুষের মধ্যে প্রায় ৯৭% মানুষ মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাবহার করে।
কেপিএমজি ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরামর্শদাতা নীরজ ভার্মা একটি রিপোর্টে বলেন, ‘গ্রামীণ এবং স্থানীয় ভাষা ব্যাবহারকারীদের মধ্যেও এখন স্মার্টফোনের ব্যাবহার তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওপেন অপারেটিং সিস্টেম যেমন অ্যান্ড্রয়েডের কারণে স্মার্টফোনের দাম আগের তুলনায় অনেকাংশে কমেছে এবং স্থানীয় ভাষাগত অ্যাপ্লিকেশন সহ কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে যা একটি অন্যতম অবদান’। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের মোট স্মার্টফোন ইউজারের সংখ্যা ছিল ৫০ কোটি। এরপর গ্রামীণ ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।