তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃতীয় সভা থেকে। কুলতলি বিধানসভার মধ্যেই এ দিনের সভা ছিল। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত এই বিধানসভার দখল নিতে পারেনি। সিপিআইএম ২০১৬ তে ক্ষমতা দখল করেছিল এই বিধানসভার। তবু এখান থেকেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ৩১টা আসনের মধ্যে ৩১টাতেই জয় চাই, বলে রাখলেন আত্মবিশ্বাসী অভিষেক।
শেষ লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা থেকেই সামান্য ভোটের লিড পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবারের জনসভা থেকে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আশা প্রকাশ করলেন, এই বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবে বলে।
এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ক্ষমতায় এলে এবার ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেব। এবার বদল নয়, বদলা চাই।” এ দিনের জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি নাম করে সরাসরি ভাবে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন জনসভাতে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের আদালতকে লেখা চিঠি নিয়ে অভিষেক বলেন, “সুদীপ্ত সেন চিঠিতে লিখেছে, ৬ কোটি টাকা নিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। সুদীপ্ত সেনকে ব্ল্যাকমেইল করেছে।” সুদীপ্ত সেনের আদালতকে লেখা চিঠি তুলে ধরে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তিনি ফাঁসিতে ঝুলতেও রাজি যদি তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনো প্রমাণ দিতে পারেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি কুলতলির জনসভা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩১ এ ৩১ করার ডাক দেন। এদিন অভিষেক জনসভা থেকে নাম না করে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নিয়ে বলেন “একজনের তিন বছর পর ঘুম ভেঙেছে। তিনি নাকি বলেছেন আমি নাকি ৭০ হাজার ভোটে জিতেছিলাম আমার হয়ে তিনি মাঠে নেমেছিলেন বলে। এখন আমি বলছি, ওরা যত নামবে ততো আমাদের ভোট বাড়বে। তুমি কোথায় দাঁড়াবে? আমি সেখানে তোমাকে হারাবো।” এ দিন জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারতন্ত্রের অভিযোগেরও পাল্টা উত্তর দেন, “আমাকে বলছে পরিবারতন্ত্র নিয়ে। বলছে নাকি পিসি ভাইপো সরকার চলছে। ওদের চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা নেই। তোমাদের পরিবার থেকে তোমরা সুনিশ্চিত করো রাজনীতিতে কেউ আসবে না। আমি বলছি রাজনীতিতে কেউ আসবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার থেকে।”
