গত দুমাস ধরেই লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনার পারদ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। চিনা সেনা বারবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে ভারতে ঢুকে আসছিল। লাদাখের গালোয়ান এ চীন এবং ভারতীয় সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার কথা হলেও চীন আগ্রাসনের পথ থেকে সরেনি এখনও। সীমান্তে দুই পক্ষের মধ্যে টানটান স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। তাই ভারত, লাদাখ সীমান্তে সেনা সহ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে।
এরমধ্যেই গত শুক্রবার ২৬ তারিখ প্রকাশ্যে এসেছে কিছু উপগ্রহ চিত্র। এই উপগ্রহ চিত্রে ১৬টি চিনা শিবিরের উপস্থিতি স্পষ্ট। যা চিনা আগ্রাসনের বিরাট প্রমাণ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সামনে তেত্রিশ দিন ধরে নিজেদের জমি শক্ত করেছে চিন। দেখা যাচ্ছে, এই শিবিরগুলি প্রায় ৯ কিমি ব্যাসার্ধ জুড়ে রয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে ১০ টির মত কালো ত্রিপলে ঢাকা কালো ছাউনি দেখা গিয়েছে। এগুলি আসলে চীন সেনার ডেরা।
গত ২২ শে জুন গালোয়ান থেকে ১৫০ মিটার দূরে গোলাপী ত্রিপলে আচ্ছাদিত অঞ্চল দেখা গিয়েছিল এবং সেখানে দাঁড়িয়েছিল ৫০ জনের মত লাল ফৌজের সেনা। আর একসপ্তাহের মধ্যেই ভারতীয় ভূখণ্ডে চীন তাদের ঘাঁটি গেড়ে দিয়ছে। এটা যথেষ্ট চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতীয় শিবিরে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা হেলিকপ্টার এর আনাগোনা অনেকাংশে বেড়েছে। গালওয়ান, দেপসাং ও দৌলত বেগ ওল্ডি সেক্টরের উপরে নজরদারি চলায় চীনের হেলিকপ্টার নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে এসে।
কিন্তু ভারতও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। চীনকে যোগ্য জবাব দিতে ক্ষেপণাস্ত্র ‘আকাশ’ কে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে ও ১৮ হাজার মিটার উচ্চতায় থাকা শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ধরাশায়ী করতে সক্ষম। তাই বোমারু বিমান ওড়ানোর আগে কয়েকবার ভাবতে হবে চীনকে।
এছাড়া এয়ার সার্ভেল্যান্স রাডার ও যুদ্ধ বিমান রয়েছে লাদাখে ভারতের আকাশ পাহারা দেবার জন্য। ভারত দৌলত বেগ ওল্ডি-সহ ৩ টি বিমানঘাঁটি সক্রিয় করেছে। এছাড়া এয়ার সার্ভেল্যান্স রাডার ও যুদ্ধ বিমান রয়েছে লাদাখে ভারতের আকাশ পাহারা দেবার জন্য। ভারত দৌলত বেগ ওল্ডি-সহ আরও তিনটি বিমানঘাঁটি সক্রিয় করেছে। সঙ্গে দেশের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রেরও সমাবেশ করছে ভারত।