অদৃশ্য অজানা ভাইরাস করোনা আতঙ্কে কোণঠাসা দেশবাসী। তবে দেশবাসীকে সংক্রমণমুক্ত করতে তৎপর ভারত। করোনা নাশে ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক তৈরিতে নেমেছে বিভিন্ন সংস্থা। এরই মাঝে খুশির খবর দিল সিরাম। আগামী ১ বছরের মধ্যেই ভারত এবং স্বল্প এবং মাঝারি আয়ের দেশগুলির জন্য ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের উৎপাদন করতে সক্ষম হবে সিরাম।
করোনা দমনে পথে নেমেছে ভারত। এরই মাঝে ভারতবাসীকে সস্থির খবর দিল বৃহত্তম টিকা উৎপাদক সংস্থা পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই সিরামের নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আলোকপাত করলেন সংস্থার প্রধান আদর পুনাওয়ালা। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, অক্সফোর্ডের টিকার তৃতীয় দফার হিউম্যান ট্রায়াল চলছে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে। এবার পালা ভারতের। ভারতে এই টিকার হিউম্যান ট্রায়াল চালানো হবে। সমস্ত পরীক্ষায় এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক ফলাফল মিলেছে এমনটাই দাবি ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া-র সিইও আদর পুনাওয়ালা। এই ভ্যাকসিনের দাম যাতে ১,০০০ টাকার মধ্যে থাকে, তার সমস্ত চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন আদর।
আদর পুনাওয়ালা আরো জানান, চূড়ান্ত পরীক্ষায় টিকা নিরাপদ এবং কার্যকরী প্রমাণিত হবে। অক্সফোর্ডের নিজস্ব ট্রায়াল, ভারতের ট্রায়াল সাফল্য পেলেই বাজারে আসবে টিকা। সে ক্ষেত্রে আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে এটি সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে যাবে। এমনকি অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি অনুসারে আগামী ১ বছরে ভারত এবং স্বল্প এবং মাঝারি আয়ের দেশগুলির জন্য ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ উৎপাদন সিরাম উৎপাদন করতে পারবে। ২০২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে ৩০ কোটি ডোজ।
জানা যাচ্ছে ওষুধ নির্মাতা সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে সিরাম আগে থেকেই চুক্তি করে রেখেছে। অক্সফোর্ডের টিকা সব পরীক্ষায় পাশ করলেই ভারতে টিকার উৎপাদন শুরু করে দেবে তারা। তার আগে অবশ্য ভারতেও এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলবে। ভারতীয়দের উপরই ট্রায়াল করবে সিরাম। বিভিন্ন বয়সের এবং বিভিন্ন জিনগত বৈশিষ্ট্যের মানুষের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। আগস্ট মাস থেকেই তৃতীয় দফায় হিউম্যান ট্রায়ালের ভাবনা আছে বলে খবর। চার-পাঁচ হাজার মানুষকে ট্রায়ালে রাখা হবে। মুম্বই এবং পুনেতে এই ট্রায়াল চানালো হবে।