মহাভারতের কুমারী মা কুন্তী ও তার সন্তান কর্ণের কাহিনী প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু কুন্তী আর কর্ণের কাহিনী শুধু মহাভারতে থেমে যায়নি। বিশ্বের আনাচে কানাচে এখনো জন্ম নিচ্ছে পিতৃ পরিচয়হীন বহু কর্ণ। অনেক অবিবাহিত তরুণী জন্ম দিচ্ছে সন্তানের। তারপর মান-সম্মানের ভয়ে তাদের ফেলে দিচ্ছে রাস্তার ধারে কিংবা আবর্জনার স্তূপে।
এমই নির্মম এক ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। গত সোমবার মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলায় সাকরি শহরে সাবিত্রীবাঈ ফুলে আদিবাসী ছাত্রীবাসের শৌচাগারের ভিতরে এক সন্তানের জন্ম দেয় ১৮ বছরের এক কলেজ ছাত্রী। স্থানীয় থানার পুলিশ সূত্রে খবর, সন্তানের জন্ম দিয়ে শৌচাগারের একটি বালতিতে সদ্যোজাতকে ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই ছাত্রী। এরপর হস্টেলের ওয়ার্ডেন শৌচাগারে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। দরজা খুলে দেখতেই শিউরে ওঠেন তিনি। বালতির ভিতরে পরে রয়েছে সদ্যজাত শিশু। পুলিশে খবর দেওয়া হলে শুরু হয় তদন্ত।
সাকরি থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর দেবীদাস দামনে জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হলে ওই হোস্টেলের কোনো ছাত্রী এই সন্তানের মায়ের দাবি নিয়ে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু সন্দেহ জনক মনে হয় এক ছাত্রীকে। সন্দেহের ওপর ভিত্তি করেই তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ওই সদ্যজাত শিশুর জন্ম দিয়েছে এই ছাত্রী। এরপর পুলিশের তরফ থেকে শিশু ও ছাত্রী দু’জনকেই চিকিৎসার জন্য ধুলের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।