কলকাতা: করোনা অআবহে ভোল বদলে ফেলেছে শহরবাসীর ব্যস্ততম চেনা স্টেশন শিয়ালদহ। যদিও বর্তমানে করোনা আতঙ্কে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। আর তাই সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নবরূপে সেজে উঠছে শিয়ালদহ স্টেশন। পরবর্তী পরিস্থিতিতে শিয়ালদহ স্টেশনের ঝাঁপ খুললে চেনা বেশ দায় হয়ে উঠবে যাত্রীদের কাছে।
নেই নিত্যযাত্রীর চাপ। নেই হকারের হাঁকডাক। নেই ট্রেন ধরার তাড়া। হচ্ছেনা অ্যানাউন্সমেন্ট। ব্যস্ততম শিয়ালদহ স্টেশন যেন এক্কেবারে শান্তশিষ্ট। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নতুন রূপ পাচ্ছে শিয়ালদহ স্টেশন। যাত্রী ভারে অবসন্ন, মলিন, নোংরা স্টেশনের ভোল বদলাচ্ছে। সেজেগুজে ফের নতুন করে তৈরি হচ্ছে শিয়ালদহ স্টেশন। পরবর্তী কালে যাত্রীরা শিয়ালদহ স্টেশনকে এক শপিংমল বলেও মনে করতে পারেন।
তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক পরবর্তীকালে কিরূপে শহরবাসীর কাছে ধরা দেবে শিয়ালদহ স্টেশন। ঢোকার মুখে প্রথমেই চোখ যাবে নিত্যনতুন শিল্প কার্য- এ। আর তাই স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছে নানা শিল্পকার্য। বিভিন্ন রংবেরঙের পোস্টারে মুরে গিয়েছে শিয়ালদহ স্টেশন। করোগেডের সিলিং বদলাচ্ছে কাঠের ব্লকে। তার ওপর বসছে এলইডি লাইটের সজ্জা। স্টেশনের ভিতর তৈরি হচ্ছে দোতলা শপিং কমপ্লেক্স। সেখানে থাকবে ১৫-২০টি দোকান।যদি কারো প্রয়োজন হয় সেখান থেকেই তবে জামাকাপড় কিনে তারা ট্রেনে করে ফিরতে পারে বাড়ি। যাকে বলে রথ দেখা কলা বেচা দুটোই একসঙ্গে হবে। ফ্লাইওভারের দিক থেকে স্টেশনে ঢোকার মুখের রাস্তা সাফাই হচ্ছে। সেখানেও তৈরি হবে দোকান। সব মিলিয়ে একেবারে নতুন রূপে ধরা দেবে শিয়ালদহ স্টেশন।
বহু মানুষের আনাগোনা হয় শিয়ালদহ স্টেশন দিয়ে। মফস্বল থেকে শহরে পৌঁছার সব থেকে অল্প সময়ে রাস্তা হলো শিয়ালদহ। আর তাই প্রতিনিয়ত লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ যাতায়াত করে শিয়ালদহ স্টেশন দিয়ে। মূলত অফিস যাত্রীদের ভিড় থাকে স্টেশনে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াল শিয়ালদহ স্টেশনও। করোনা কাঁটায় শিয়ালদহ স্টেশনে বন্ধ ট্রেন যাতায়াত। তবে, নবরূপে যাত্রীদের ধরা দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় রত শিয়ালদহ স্টেশন। শুধু সময়ের অপেক্ষা। করোনা দেশ থেকে বিদায় নিলেই ফের খুলবে শিয়ালদহ স্টেশনের দরজা।