হিমালয়ের বুক চিরে রাস্তা নির্মাণ করেছে ভারত। আর তাতেই আপত্তি জানিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেছে নেপাল। সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে নির্মিত হয়েছে ওই রাস্তা, কিন্তু তবুও আপত্তি নেপালের। নেপাল কংগ্রেসের MP পুষ্পা ভূষল গৌতমের দাবি, L১৮১৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নেপালের মধ্যে স্বাক্ষরিত সাগাউলি চুক্তি অনুযায়ী ওই এলাকা সম্পূর্ণভাবে নেপালের। চুক্তির উপর ভিত্তি করে নেপালে আরেকটি সাংসদ সদস্য গগন থাপা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তারা এক ইঞ্চি জমিও কাউকে ছেড়ে দেবে না। ভারতের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে গোটা নেপালবাসী।
ভারতের উত্তরাখন্ড, চিনের তিব্বত এবং নেপালের সীমানা যেখানে মিশেছে সেখানে হিমালয়ের একটি গিরিপথ রয়েছে, যার নাম লিপুলেখ। ওই গিরিপথের দক্ষিণের ভূখন্ড পরিচিত কালাপানি নামে, যা রয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীনে। কিন্তু নেপালের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী ওই অঞ্চল তাদের ভূখণ্ডের অন্তর্গত। আর তাই ভারতের ওই অঞ্চলের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরিতে বেজায় চটে গিয়েছে নেপাল। নেপাল আরো বেশি খেপে গিয়েছে ওই দেশের কিছু রাজনীতিবিদদের জন্য। কারণ তারা ভারত বিরোধী স্লোগান তুলে নেপাল বাসীকে ভারতের বিরুদ্ধে আরও বেশি খেপিয়ে তুলেছে।
নেপালের রাজনীতিবিদদের মধ্যে ভারতবিরোধী প্রবণতা বহু পুরনো। কিন্তু নেপালে নিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত দেব মুখোপাধ্যায়ের বলেছেন, কালাপানির উপর ভারতের অধিকারের ভিত্তি রয়েছে ঐতিহাসিক। ১৮৪০ থেকে ১৮৬০ সালের ইতিহাস পড়লেই তা জানা যাবে। এছাড়া মানচিত্রেও প্রমাণিত ওই অঞ্চল ভারতের ভূখণ্ডের অধীনে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনিক পুনর্গঠনের পর ভারতের যে নতুন মানচিত্র গঠিত হয়েছিল তাতে কালাপানি কে ভারতের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছিল। এতেই প্রতিবাদের সুর ওঠে নেপাল বাসীর কন্ঠে।