দেশনিউজ

এপ্রিল পেরোতেই দেশে চরম আকার নেবে করোনা! আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা

Advertisement
Advertisement

সারাবিশ্বেকে ইতিমধ্যে কাবু করে ফেলেছে নোভেল করোনাভাইরাস। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত সহ আরও বিভিন্ন কিছু দেশ এই মুহূর্তে লকডাউন এর মধ্যে অতিবাহিত করছে। ভারতে প্রথম পর্যায়ে লকডাউন শেষ হয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন। দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন প্রথমে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা হলেও পরবর্তীতে সেই মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩রা মে করা হয়েছে। দেশ দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের মধ্যে থাকলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আগামী মাসে চরম আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। জানানো হয়েছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই সারা দেশজুড়ে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমনের সংখ্যা অতি মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে। ‌মে মাসের শুরুতে করোনা সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি‌ পেয়ে তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

কেন্দ্র পরিসংখ্যান অনুযায়ী বলা হয়েছে, যারা প্রথম থেকে লকডাউন এর পথে হেঁটেছে তারা ভালো ফল পেয়েছে। সিকিম, রাজস্থান, পঞ্জাব এবং বিহার এই রাজ্যগুলি প্রথম থেকে লকডাউনের পথে হেঁটে ছিল। তাই উত্তর প্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের তুলনায় ওই রাজ্যগুলোয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। গত ২৪ শে মার্চ থেকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হলে ভারতের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে। ছোট থেকে বড় সব শিল্পোরই অবস্থা বেহাল। তাই দেশের স্বার্থে লকডাউন চললেও সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র শিল্প গুলি কি সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রবীণ সরকারি আধিকারিক বলেছেন, “পরের এক সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধিকে থামাতে আরও বেশি করে করোনা পরীক্ষা করার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। তীব্র শ্বাসকষ্ট বা করোনা সংক্রান্ত অন্য কোনও লক্ষণ দেখলেই এখন আর দেরি না করে তাঁদের সবারই পরীক্ষা করা হচ্ছে।” ভারতের এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২,৭৫৯। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৫১৫ জন এবং মারা গিয়েছে ৪৩৭ জন।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles