নিউজরাজ্য

এই প্রথম ফারাক্কার গঙ্গায় দেখা গেলো হিংস্র প্রাণী! মহূর্তেই ভাইরাল হলো ছবি

Advertisement
Advertisement

ফারাক্কার গঙ্গা দেখা মিলল কুমিরের। এর আগেও বেশ কয়েকবার তার দেখা পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা এমনটাই দাবি করেছিল। কিন্তু ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সেই দাবি কর্ণপাত করেনি। কর্ণপাত না করার পিছনে অবশ্য একটা কারন ছিল। এর আগে কুমিরের অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি। কিন্তু করোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন চলায় যখন গঙ্গার চর পুরো ফাঁকা, ব্রিজের উপর দিয়েও চলছে না কোনো যানবাহন, তখন সেই সুযোগে কুমির মশাই মনের সুখে ডাঙ্গায় উঠে রোদ পোহাচ্ছিলেন। সেই সময়ই ঘটে আসল উৎপাত। রোদ পোহাতে গিয়ে কুমির মশাই নিজেকে দেখিয়ে ফেললেন স্থানীয়দের সামনে। তারপর আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে বিভিন্ন পোজ থেকে উঠে গেল কুমির বাবুর ছবি। এর পর কুমির বাবু আবার সরাসরি ফিরে গেলেন গঙ্গায়।

গত শনিবার বেলা ১২’টা নাগাদ মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার মাঝে ফারাক্কা বাঁধের দক্ষিণ দিকে কুমির বাবু সেখানকার স্থানীয় কিছু যুবকদের দেখা দিয়েছে। যতটুকু জানা গেছে তাতে কুমিরটি পূর্ণবয়স্ক। আগে ফারাক্কা বাঁধে পাওয়া যেত ইলিশ। সেই ইলিশ স্বাদ ও গন্ধের জন্য বিখ্যাত ছিল। যদিও এখন সব সময় না হলেও, কোন কোন সময় পাওয়া যায় সেই ইলিশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা কুমির মাঝে মাঝে খাবারের সন্ধানে সুন্দরবন অঞ্চলে লাগোয়া গ্রামের খাঁড়িগুলিতে চলে আসে। সেসব খাড়িতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রতিবছরই দুই বাংলার কিছু যুবক কুমিরের হাতে প্রাণ দেয়।

সাধারণত কুমিরেরা নোনা জল বেশি পছন্দ করে। তারা চট করে মিষ্টি জলে আসতে চায় না। কিন্তু কোনভাবেই কুমিরটি স্রোতে ভেসে ফারাক্কার গঙ্গায় চলে এসে আর ফিরে যাওয়ার পথ পায়নি। সেই থেকে কুমিরটি এখানেই রয়ে গেছে।‌ এর আগে মৎস্যজীবীরা কুমিরটির দেখা পেলেও তার ছবি তুলতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু এবারে ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles