কিছুদিন আগে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। এই ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান অবস্থান দীঘা থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে। ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতি নিয়ে ধেয়ে আসছে আমফান। তবে এটি ধীরে ধীরে গতিবেগ বাড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে এটি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসুমি ভবন। এখনো পর্যন্ত পাওয়া সূত্র অনুযায়ী আমফান ক্রমশ উত্তর থেকে উত্তর পশ্চিম দিক বরাবর এগোচ্ছে। বুধবার রাত ৯-১২টার মধ্যে এটি আছড়ে পড়বে দিঘা ও হলদিয়ায়। এর প্রভাবে ওড়িশা উপকূলে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। তবে কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুর আড়াইটের পর থেকেই আমফান শক্তিশালী হতে শুরু করেছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় এটি আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মৌসুমী ভবনের দাবি, বাংলাদেশের হাথিয়া দ্বীপ, দিঘা বা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার সময়ে এর গতি হবে ১৫৫-১৬৫ কিলেমিটার প্রতি ঘণ্টা। সমস্ত জরুরিকালীন পরিষেবাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ১৮ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে এনডিআরএ টিম।
এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ঘর থেকে বেরোতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে সবাইকে। দিঘা ও বাংলাদেশের হাথিয়া দ্বীপের মাধ্যবর্তি অঞ্চলে ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা আমফানের। সতর্ক করা হয়েছে সাগর দ্বীপ ও কাকদ্বীপের মানুষকে।