নিউজবিনোদন

কাজে এলো না কোনও আবেদন, মিঠুনের রিসর্ট ভাঙার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement
Advertisement

বাঙালির কাছে মিঠুন চক্রবর্তী কোনও নাম নয় বাঙালির কাছে মিঠুন এক আবেগের অন্য নাম৷ বহু বছর ধরে মিঠুন আবেগে গা ভাসিয়েছেন সমস্ত মানুষ৷ এরই মাঝে এবার মিঠুন চক্রবর্তীর উটির রিসর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কেনও এই সিদ্ধান্ত?

বেশ কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে তামিলনাড়ুর নীলগিরির কাছে যে মুদুমালাইয়ের রিসর্টগুলি রয়েছে সেগুলি জন্য হাতিদের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা হয়। আর তাই এবার নীলগিরি অঞ্চলের ওই এলিফ্যান্ট করিডর রিসর্টগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুদুমালাইয়ের ওই রিসর্টগুলির মধ্যে রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর রিসর্টও।

বলে রাখি ২০১১ সালে নীলগিরি অঞ্চলের রিসর্ট ভাঙা নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে, তামিলনাড়ু সরকারের ওই এলাকাকে এলিফ্যান্ট করিডোর হিসেবে ঘোষণা করার সম্পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। যদিও ২০১১ সালে ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্ত হন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনের পাশাপশি ৩২ জন বেসরকারি জমি ও রিসর্ট মালিক সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। যদিও শেষ রক্ষা হলো না মাদ্রাজ হাইকোর্ট- র সেই রায় বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালতই স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, নীলগিরিতে যে এলিফ্যান্ট করিডর রিসর্টগুলি রয়েছে তা ভেঙে ফেলতে হবে। তবে,মিঠুন চক্রবর্তী-সহ রিসর্ট মালিকদের দাবি, তাঁরা নির্দিষ্ট আইন মেনেই নীলগিরি অঞ্চলে রিসর্ট তৈরি করেছে।

নীলগিরি অঞ্চলের রিসর্টগুলি ভাঙার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আবেদনকারীদের জন্য একটি পৃথক কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে। আসল ব্যাপার হলো ওই এলিফ্যান্ট করিডর রিসর্টগুলির মাধ্যমে স্থানীয় অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভর করে ফলে ভেঙে ফেলা হলে অনেকরই সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,এলিফ্যান্ট করিডোরে রিসর্ট গড়ে ওঠার বিরুদ্ধে ১৯৯৬ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles