ছানার পাতুরি থেকে চিংড়ি মাছের মালাই কারি, Neel-Trina-র বিয়ের মেনুতে সাজানো বাঙালিয়ানার সুস্বাদু ভোগ
অবশেষে পরিনতি পেল বন্ধুত্বের মোড়কে মোড়া প্রেম। গতকালই চার হাত এক হয় টলিপাড়ার চর্চিত জুটি নীল তৃণার। নীল তৃণার বিয়েতে সম্পূর্ণ ছিল বাঙালিয়ানায় ছোঁয়া। শুধু বিয়ে নয় বিয়ের মেনুতেও ছিল বাঙালিয়ানার ছোঁয়া।
শুটিং ছেড়ে এবার বাস্তব জীবনে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তৃণা সাহা ও নীল ভট্টাচার্য। দক্ষিণ কলকাতার এক রিসর্টে বসে তারকা দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠান। বিয়েতে একেবারে বাঙালি রূপে সেজে ছিলেন বর কোনে। লাল বেনারসীতে সাজেন তৃণা আর নীলও সাজে ধুতি-পাঞ্জাবীতে। শুধু বিয়ের সাজে বাঙালিয়ানা নয় বিয়ের মেনুতেও ছিল বাঙালিয়ানার টাচ।
আসুন তাহলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নীল তৃণার বিয়ের মেনু। তারকা দম্পতির বিয়ের মেনুতে প্রথমেই ছিল নান ও ডাল মাখানি। ছিল চিংড়ি মাছের মালাই কারি, মটন কষা। তাছাড়াও ভেজ ঝাল ফ্রেজি, চাটনি, পাঁপড়, ছানার পাতুরি আর মালাই কোফতা, জিরা রাইস, তরকা।
প্রায় এক দশকের প্রেম নীল ও তৃণার। সেই ২০১১ সালে এমবিএ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ক্যাট ক্লাসে তাঁদের দেখা হয়েছিল। ২০১১ সালেই প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন দু’জনে। সেখানেই রয়েছে তাদের প্রথম চুম্বনের স্মৃতি। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রেমের এই প্রখম পর্যায় চলেছিল। তারপর পড়াশোনার জন্য দিল্লি চলে যান তৃণা। নীল রয়ে যান কলকাতায়। পরে ২০১৫ সালে তৃণার ফেরার পর ফের বন্ধুত্ব শুরু। এরপরেই ধীরে ধীরে তৃণা বুঝতে পারেন নীল তাঁর কাছে বন্ধুর চেয়েও বেশি।
আর তারপরেই ২০১৭ সালের ২১ জুন বন্ধুদের সামনে তৃণাকে প্রপোজ করেন নীল। তারপর থাইল্যান্ডে প্রী হানিমুনও সেরে এসেছেন দু’জনে। এইসবের মাঝেই তাদের মনে হয়েছে তাদের চার হাত এক হওয়া প্রয়োজন। যেমন ভাবা তেমন কাজ অবশেষে বিয়ে সারলেন নীল তৃণা।