বরাবরই তর্কবিতর্কের মধ্যে থাকতে বেশি পছন্দ করেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। চাঁচাছোলা নায়িকা হিসেবে চিহ্নিত কঙ্গনা। কাউকে ছেড়ে কথা বলার পাত্রী নন তিনি তা অজানা নয় কারুর। যেকোনও কথার সপাটে জবাব দিতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী । কিন্তু এবার কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে উঠল দেশদ্রোহের অভিযোগ, বিপাকে অভিনেত্রী।
সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিকে আঙুল তুলেছেন কঙ্গনা। যেকোনো বিষয়ে ফ্রন্টে এসে মন্তব্য করতে বুক কাঁপে না অভিনেত্রীর। কিন্তু এবার এই ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যই বিপাকে পড়তে হল বলিউড কুইন কঙ্গনাকে। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গুরুগ্রামে দায়ের হল দেশদ্রোহীর মামলা। গুরুগ্রামের ৩৭ সেক্টর থানায় ভীমসেনার প্রধান সতপাল তনওয়ার এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার জাতি বৈষম্য নিয়ে ট্যুইট সংবিধান বিরোধী, সংবিধানের অপমান করছে। অভিযোগ কঙ্গনার অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল ‘টিম কঙ্গনা রানাওয়াত’-র তরফে রবিবার ট্যুইট করে লেখা হয় , ‘বর্তমানে আধুনিক ভারতীয়রা জাতি ব্যবস্থাকে অস্বীকার করেন। ছোট শহরের বাসিন্দারা জানেন, জাতি বৈষম্য আর কোনওভাবেই আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক মানুষ এই ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করেন অন্য মানুষকে আঘাত করতে, তারমধ্যে দিয়ে আনন্দও পান! আমাদের সংবিধানেই শুধু সংরক্ষণের কথা আছে। চলুন এর থেকে বেরনো যাক, এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলা শুরু হোক’।
জানা যাচ্ছে অভিনেত্রী এই টুইটটি করেছিলেন শেখর গুপ্ত নামে একজনের টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে। ঘটনার সূত্রপাত সেখান থেকেই। শেখর গুপ্ত মার্কিন সঞ্চালক, সমাজসেবী, লেখিকা ওফরা উইনফ্রে-র একটি ট্যুইটের রিপ্লাইয়ে লেখেন, ‘ ওফরা উইনফ্রে জাতি বিষয়ক একটি বই ১০০ জন মার্কিন সিইও-কে পাঠিয়েছেন! অথচ, ভারতীয়রা আজও এই বিষয়ে একটা কথা বলেন না’ এই ট্যুইটের উত্তর দিতে গিয়েই এবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন কঙ্গনা। কঙ্গনার টুইট দেখে অনেকেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, কেউ আবার তাকে সাপোর্ট করছে। কিন্তু বর্তমানে কঙ্গনার টুইট নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।