Advertisements

অমিতাভকে কোনওদিনও ডিভোর্স দেব না, এভারগ্রিন রেখাকে চ্যালেঞ্জ জয়ার

Advertisements

বলিউডের এভারগ্রীন নায়িকা রেখা, যার রূপে ঝলকে এখনো আট থেকে আশি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যায়। এই বয়সেও কিভাবে এমন সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন তা যেন রহস্য সকলের কাছে। শুধু তার সৌন্দর্য্য কেনো! রেখার ব্যক্তিগত জীবনটাই যেনো বাইরের দুনিয়ার কাছে একটা রহস্য। প্রতি সময়ই রেখা কে দেখা যায় শোলা শৃঙ্গার করে, পরনে শাড়ি, খোপায় মালা, হাতে চুড়ি, কপালে টিপ, সিথিতে সিঁদুর, তবে সেই সিঁদুর কার জন্য পড়েন নায়িকা তা আজ পর্যন্ত রয়ে গিয়েছিলে রহস্য হয়ে, অবশ্য রেখার কথা অনুযায়ী তিনি সিদুরকে বিবাহের চিহ্ন হিসাবে ব্যবহার করেননা বরং শোলা শৃঙ্গার এর একটি আনুষাঙ্গিক হিসাব পড়েন। তবে অনেকেই তা মানতে নারাজ, তাদের মতে অমিতাভের জন্যই সিঁথিতে সিঁদুর দেন রেখা।

একসময় রেখা এবং অমিতাভের প্রেম ছিল বলিউডের হট কেক। একে অপরের প্রেমে মশগুল ছিলেন অমিতাভ এবং রেখা। দো আনজানে সিনেমার শুটিং করতে গিয়েই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় রেখা এবং অমিতাভের, তখন ইতিমধ্যে অমিতাভ বিবাহিত, এমনকি রেখার জন্য নিজের পরিবার পর্যন্ত ছাড়তে বসেছিলেন অমিতাভ। তবে অমিতাভ পত্নী জয়া নিজের অধিকার ছাড়তে নারাজ, রেখাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অমিতাভ কে কোনোদিনও আলাদা করা যাবেনা তার থেকে।

রেখাকে নিজের বাংলায় নিমন্ত্রিত করে জয়া স্পষ্ট ভাষায় বলে দেন তিনি কোনদিনও অমিতাভকে ছাড়বেন না। রেখা ও ধীরে ধীরে বাস্তব বুঝে গিয়েছিলেন যে অমিতাভের স্ত্রী সন্মান তিনি কখনো পাবেন না, তাই সরে গিয়েছিলেন অমিতাভ জয়ার মাঝখান থেকে।

অমিতাভ জয়া রেখার ত্রিকোণ প্রেমের গল্প উঠে এসেছিল যশ চোপড়ার সিলসিলা ছবিতে। বক্সঅফিসে ছবিটি বড় সাফল্য পেয়েছিল। ছবির সাথে ছবির প্রত্যেকটি গানও হয়েছিল হিট। একসময় যশ রাজ নিজের মুখে স্বীকার করেছিলেন এই ছবিটি অমিতাভ-রেখা এবং জয়া ত্রিকোণ প্রেমের বাস্তব কাহিনী।

Related Articles