আর মাত্র কয়েকদিন পরেই একুশের নির্বাচন। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে চলছে একুশের নির্বাচন জোরদার প্রস্তুতি। এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায় দেখ। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসকদলের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। আর এবার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সফল করতে বসিরহাটে খোদ তারকা সাংসদ নুসরত।
বেশ কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে একটাই নাম ঘোরাফেরা করছে সেটা হল নুসরত। অভিনয় পাশাপাশি পার্টির কার সঙ্গে সংসার সামলানো সবটাই একা হাতে করছেন অভিনেত্রী। তবে, এরই মাঝে মাথায় রাখতে হচ্ছে একুশের নির্বাচনের কথা। কারণ ইতিমধ্যেই একুশের নির্বাচন নিয়ে পদ্ম শিবির ঘাসফুল শিবিরের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার মানুষের মন জয় করতে দুয়ারে-দুয়ারে কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই কর্মসূচিতে প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দিচ্ছেন প্রশাসনের কর্মীরা। সেই তালিকা থেকে বাদ গেলেন না তারকা সাংসদ নুসরত। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে দুয়ারে-দুয়ারে কর্মসূচিতে উপচে পড়া ভিড়। আর সেখানে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান।
নিজস্ব সংসদীয় এলাকার মানুষজন ঠিকমতো সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা, তা নিয়ে আগাগোড়াই কড়া নজরদারি রাখে অভিনেত্রী নুসরত জাহান। করোনা আবহে গোটা লকডাউনে বসিরহাটের মানুষদের যাতে কোনওরকম কষ্ট না হয়, সেদিকেও খেয়াল রেখেছেন সাংসদ অভিনেত্রী। এবার জনগনের সুবিধে-অসুবিধের কথা শুনতে পৌঁছে গেলেন তাঁদের দুয়ারে দুয়ারে।
শনিবার, দুপুরে বসিরহাট উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বেগমপুর বিবিপুর হাই স্কুলের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ঘুরে দেখেন নুসরত জাহান।লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে যেসমস্ত সরকারি পরিষেবাগুলি চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেগুলো তাঁরা ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা, কিংবা এই পরিষেবাগুলির আবশ্যিকতাই বা কোথায়, সেসম্পর্কে যাবতীয় বিষয়ে কথা বলেন মানুষের সঙ্গে। স্বাস্থ্যসাথীর প্রয়োজনীয়তা মানুষকে জানান তারকা সাংসদ।
এরপরেই সেই এলাকা থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নুসরত জাহান বলেন, ‘এর আগে সরকারি সুবিধা মানুষ পেয়েছে। তবে, এর আগে বাংলায় এমন উদ্যোগ কেউ নেয় নি। দিদি এত করেছেন যে বাংলায় ভাল থাকাটা মানুষের কাছে খুব সহজ। এখানকার মানুষকে ভাল রাখাটা প্রথম দরকার। মানুষ খেয়ে পরে ভাল থাকুন, বাড়ির বাচ্চারা পড়াশুনো করুক, দিদি এটাই চান।মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে এখন সমস্ত সুবিধা একটা জায়গায় পাওয়া যাবে। আমি মানুষের মুখে এজন্য আজ হাসি দেখতে পাচ্ছি’।