আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে দেশজুড়ে বিমান চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু রাজ্যের পক্ষ থেকে আপাতত বিমান চলাচল বন্ধ রাখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল। রাজ্যের সেই অনুরোধ রেখে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে সোমবার থেকে দেশের অন্যান্য জায়গায় বিমান চললেও বাংলায় চালু হবে না বিমান চলাচল। আগামী ২৮ শে মে থেকে ৫ শতাংশ বিমান চলাচল করবে এমনটাই সিদ্ধান্ত কেন্দ্র সরকারের। এরপর ধীরে ধীরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাকি বিমান ওঠানামা করবে।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ঝামেলার মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হলে যাত্রীদের রাখা এবং তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই রাজ্যে কয়েকদিন পর বিমান চলাচল চালু করা হোক। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এর পাশাপাশি গত ২৩ শে মে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে রাজ্যে শ্রমিক ট্রেন প্রবেশ বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
একদিকে করোনার দাপট, অন্যদিকে আমফানের তাণ্ডব। তার মধ্যে যদি শ্রমিকরা প্রবেশ করে তবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বৃদ্ধির হার প্রবল হবে। এই দুই পরিস্থিতি একসাথে সামাল দিতে নাজেহাল হতে হবে রাজ্য সরকারকে।