দেশনিউজ

লকডাউনে চাকরি গেল ১০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার।

Advertisement
Advertisement

দেবপ্রিয়া সরকার : করোনার মোকাবিলায় গোটা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এর জেরে বন্ধ রয়েছে সমস্ত বাজারহাট, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত সকলেই‌। সংসার চালাতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে সাধারণ মানুষ তথা দিন আনা দিন খাওয়া শ্রেণীর মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও। এই পরিস্থিতিতে চাকরী নিয়ে টানাটানি ত্রিপুরার ১০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার। চাকরি পাওয়া ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা কিভাবে দিন চালাবে বুঝতে পারছেন না।

২০১৪ সালে ত্রিপুরার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের আমলে নিযুক্ত হন ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তখন চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বেনিয়ম হয়েছিল, যার জেরে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলাতেই এবার চাকরি হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাঁদের। মামলা চলাকালীন ঐসমস্ত শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয় তৎকালীন বিরোধী শিবিরে বিজেপি। কিন্তু সরকার বদল এর পর সেই কথা একেবারেই ঘুরে যায়। এখন বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন সংকটে তাদের চাকরি না থাকার কথা টুইট করে ঘোষণা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

এই টুইট দেখেই মাথায় হাত ১০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার। দেশব্যাপী এমন চরম সংকটের মধ্যেই তাদের প্রত্যেককে ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল জানিয়েছেন, এদের চাকরি বহাল রাখতে কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে খুব একটা ফল মেলেনি। এই চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পিছনে কোন রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles