সোনা এবং রুপোর আমদানি শুল্ক কমালো কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সোমবার সেই প্রস্তাব দিলেন। আমদানি শুল্ক কমিয়ে দুই ধাতুর উপর ১২.৫ শতাংশ ধার্য করা হয়েছিলো। তার উপর আরো কর কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ ধার্য্য করা হয়েছ।
সাধারণ বাজেটে সোমবার নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘সোনা এবং রুপোর উপর ১২.৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে বর্তমানে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে একবার শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল, সেই মূহুর্তে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে ধাতুগুলির দাম ভালোমতো বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের স্তরে দাম ফিরিয়ে আনার জন্য সোনা এবং রুপোর আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা করছি আমরা।’
ইতিমধ্যে ভারতীয় বাজারে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম এমসিএক্স সূচকে তিন শতাংশ বা ১,৫০০ টাকা কমে দাম আপাতত দাঁড়িয়েছে ৪৭,৯১৮ টাকা। বিশ্ব বাজারে সোনার দাম বেড়ে আপাতত দাঁড়িয়েছে ১.২ শতাংশ। অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারের হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার পর (১০ শতাংশ) ভারতে এক কেজি সিলভার ফিউচার্সের দাম ৫.৫ শতাংশ বেড়ে ৭৩,৫০৮ টাকা দাঁড়িয়েছে । যদিও বাজেটের আগে ভারতীয় বাজারে সোমবার সোনার দামের ইতিবাচক সূচনা হয়েছিলো। পরবর্তীতে, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৫ শতাংশ বেড়ে যায়, তা গিয়ে পৌঁছায় ৪৯,৫৬৬ টাকায়। আর বিশ্ব বাজারের দামের রেশ ধরেই রুপোর দর একলাফে ছ’শতাংশ বেড়ে যায়। যার ফলে এক কেজি সিলভার ফিউচার্সের ৭৪,০০০ টাকা দাম হয়।
প্রসঙ্গত মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের চেয়ারম্যান আহমেদ এমপি এ বিষয়ে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সোনা এবং রুপোর আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানাচ্ছিলো গয়না শিল্প। আমদানি শুল্ক বেশি রাখার ফলে আখেরে ক্ষতি হচ্ছিলো, বাড়ছিলো অবৈধ আমদানি । সেখানে আমদানি শুক্ল কমানোর এবং ৭.৫ শতাংশ করার যে প্রস্তাব বাজেটে রাখা হয়েছে, তা সঠিক সিদ্ধান্ত বলেই তিনি জানান।
যদিও নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু সোনা এবং রুপোর উপর কৃষি পরিকাঠামো বাবদ সেস ধার্য করা হয়েছে, যা প্রায় ২.৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে ক্রেতাদের উপর যেন সেস অতিরিক্ত বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়, সেকারণেই আমদানি শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। কৃষি পরিকাঠামো সংক্রান্ত সেস বাবদ সরকার যে পরিমাণ টাকা পাবে, সেই সম্পূর্ণ টাকা কৃষি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।