রাজ্যবাসী বিশেষ করে বাঙালিরা শারীরিক কোনো জটিল সমস্যা হলেই চিকিৎসার জন্য ভেলোরে যান। তারা কলকাতার থেকে চিকিৎসার কেন্দ্র হিসাবে ভেলোরকে বেশি উপযুক্ত মনে করেন। তবে লকডাউনের জন্য এবং ট্রেনের সমস্যার জন্য মানুষ কম যাচ্ছেন। তবে এবার রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হল বিশেষ উদ্যোগ। চিকিৎসার জন্য বহু মানুষের পাশেই নিঃশব্দে দাঁড়াল রাজ্যসরকার। এখন থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এল ভেলোর সিএমসি।
অর্থাৎ এবার এই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় থাকা যে কেউ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ৬ অক্টোবর থেকে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। এখন এই নাম নথিভুক্তকরণের কাজ চলবে। ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হলেই চিকিৎসার জন্য ভেলোরে যেতে পারবেন। তবে এই প্রকল্প নিয়ে বিজেপি ও শাসকদলের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়েছে। বিজেপির ন্যাশানালিস্ট ডক্টর্স অ্যাসোশিয়েশান মনে করে যে এই প্রকল্পের চেয়ে অনেক ভালো আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প।
বেশ কয়েকদিন আগে খড়্গপুরে সভাতেও আয়ুস্মান ভারত নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভাতে তিনি বলেন যে কেন্দ্র যদি পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান প্রকল্প রূপায়ন করতে চায় ৷ তাতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও আপত্তি নেই৷ কিন্তু ওই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে একটা টাকাও খরচ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।