সম্পূর্ণ খালি গলায় দুর্দান্ত গান গেয়ে মুগ্ধ করল জুনিয়র নেহা কক্কর, ভাইরাল ভিডিও, প্রশংসার ঝড় নেটদুনিয়ায়
দেখতে দেখতে সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের লোকেরা এখন চাঁদমনিকে চিনে গেছে।
মানুষের মধ্যে যদি কোনো প্রতিভা থাকে আর যদি নিজের ইচ্ছে থাকে তাহলে হাজার প্রতিকূলতা সত্বেও সেই প্রতিভা বিকশিত হবেই। এরকম প্রতিভার অনেক উদাহরণ একাধিকবার মিলেছে। ঠিক সেরকম এক প্রতিভা হলেন চাঁদমনি হেমব্রম। হাজার দারিদ্রতা, সমস্যা থেকেও সে তার প্রতিভা ঠিক সবার সামনে আনতে পেরেছে।
আর দেখতে দেখতে সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের লোকেরা এখন চাঁদমনিকে চিনে গেছে। সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা সাঁওতাল পরিবারের মেয়ে চাঁদমনি, তবে তাঁর গলায় রয়েছে সাক্ষাৎ মা সরস্বতীর আশীর্বাদ। অপূর্ব সুন্দর গানের গলা তাঁর। হুগলির ইটাচুনা অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে চাঁদমনি।
বাড়িতে বাবা নেই, খুব কষ্ট করে তাঁদের সংসার চলে। সারাদিন কোস্ট করে খেটে সংসার চালায় সে। তার উপর পড়াশুনাও চালাচ্ছে সে। সে কারোর কাছে গান শেখেনি। পাশের বাড়ির ফোনে চলা গান থেকেই তার গান শেখা, শুনে শুনে মনে রাখত সে গানগুলি। তবে এত গরিব হবার জন্য তাঁর সেই প্রতিভা প্রকাশ পাইনি। লকডাউনে স্কুলের শিক্ষক শ্যাম হাজরা তাদের সাহায্য করতে এসে একদিন চাঁদ মনির অসাধারণ প্রতিভা দেখে আশ্চর্য হয়ে যান তিনি।
আর এইভাবেই তাঁর প্রতিভা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর গান। আর তারপরেই সুযোগ আসে বলিউডে। হুগলির চাঁদমনি জয় করে মুম্বাই। বলিউডে সুযোগ পেয়েই একের পর এক হিট গান উপহার দেয় বাংলার চাঁদমনি। সে এবং তাঁর দাদা সিন্টু প্রসাদ দুজনে একসঙ্গে করেছেন ডুয়েট। তাঁদের গানের গলাতে মুগ্ধ নেটিজেনরা। আর সেই গান পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়ে যায়।
দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও-