অফবিটনিউজ

Kolkata biriyani: কলকাতা বিরিয়ানিতে আলুর আগমন কীভাবে ঘটলো? রইলো অজানা কাহিনী

কীভাবে কলকাতা বিরিয়ানির অন্যতম অংশ হয়ে উঠলো আলু! জানুন

Advertisement
Advertisement

ফুটপাতের ধারে কিংবা নামী হোটেলে লাল কাপড় জোড়ানো হারি দেখলেই স্বর্গ সুখ খুজেঁ পায় অনেকে। হ্যাঁ, ঠিকই ভাবছেন বিরিয়ানির কথাই বলছি। সারা বিশ্ব জুড়েই বিরিয়ানির খ্যাতি রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এটি বিভিন্ন ভাবে তৈরি করা হয়। ভারতেও হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি, লখনৌ বিরিয়ানি, কাচ্ছি বিরিয়ানি এবং আমাদের প্রিয় কলকাতার বিরিয়ানি (Kolkata biriyani) বেশ জনপ্রিয়। তবে এই সবের মধ্যে কলকাতার বিরিয়ানির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর তা হলো বিরিয়ানির আলু। যা আর অন্য কোনো রাজ্যের বা জায়গার বিরিয়ানীতে দেখা যায় না। আলু ছাড়া বিরিয়ানি পেলে বাঙালি খাদ্যরিসকের মন ভরে না। তবে জানেন কি কীভাবে কলকাতার বিরিয়ানিতে আলুর আগমন কীভাবে?

বাঙালিদের অন্যতম জনপ্রিয় পদ হলো কলকাতার বিরিয়ানি (Kolkata biriyani)। যা একসময় নবাবী খানা হিসাবে পরিচিত ছিল। লখনৌয়ের নবাব ওয়াজেদ আলী শাহছর হাত ধরেই কলকাতায় বিরিয়ানির আগমন ঘটে। ধীরে ধীরে কলকাতার বিরিয়ানি বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যায়। এক সময় লখনৌয়ের নবাব ছিলেন ওয়াজেদ আলী শাহ। তবে ইংরেজ গভর্নর তাঁর নবাবী কেড়ে নেওয়ার পর, নবাব চলে আসেন কলকাতায়। তিনি মেটিয়ারুজ তথা বর্তমানে গার্ডেন রিচে থাকতে শুরু করেন।

জানা যায়, নবাব খুবই শৈল্পিক মনের মানুষ ছিলেন। তিনি নাচ গান কবিতা ঠুমরি নিয়ে থাকতে ভালোবাসতেন। যখন তিনি কলকাতায় আসেন, তখন তাঁর হাতে অর্থের অভাবে ছিল। ইংরেজদের কাছ থেকে ভ্রাতা নিয়ে সংসার চলতো তাঁর। তবে ভালো মনের মানুষ নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ মানুষকে খাওয়াতে ভালোবাসতেন এবং মাঝে মধ্যেই অতীত নিমন্ত্রণ করে আপ্যায়ন করতেন। আর পদে থাকতো বিরিয়ানি (Kolkata biriyani)।

তবে সে সময় মাংসের দাম এতই বেশি ছিল যে তা দিয়ে অনেক লোকের জন্য বিরিয়ানি করা নবাবের পক্ষে সম্ভব ছিল না। যে কারণে নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ রাঁধুদের পরামর্শ দেন আলু ব্যবহার করে বিরিয়ানি (Kolkata biriyani) তৈরির জন্য। যদিও সে সময় আলুর দামও বাজারে অনেক বেশি ছিল। কিন্তু মাংসের তুলনায় আলুর দাম কম হওয়ায় নবাব আলু দিয়ে বিরিয়ানি তৈরি করেন। তারপর থেকে বিরিয়ানিতে আলু এবং আলু বিরিয়ানি বাঙালির মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।

Related Articles