নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

নদিয়ার শান্তিপুরে তোলাবাজি দিতে নারাজ, যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ, আশঙ্কাজনকভাবে ভর্তি হাসপাতালে

কোনো জায়গায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে গণ স্বাক্ষর জমা পড়ার পরও অনেকেই বেমালুম ঘুরে বেড়াচ্ছে এমনটাই মনে করেন বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- আবারো অশান্তি নদীয়ার শান্তিপুরে। লকডাউনের মধ্যেই নানান জায়গায় বোমাবাজি, গুলি, কোপাকুপি তে জর্জরিত হয়েছে শান্তিপুর। কোনো জায়গায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে গণ স্বাক্ষর জমা পড়ার পরও অনেকেই বেমালুম ঘুরে বেড়াচ্ছে এমনটাই মনে করেন বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

নদীয়ার শান্তিপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরজিজিরা এলাকায় বেজপাড়া মাঠ সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। গতকাল ৩২বছর বয়সী যুবক তার মাকে নিয়ে জন্মাষ্টমীর উপোস থাকার পর পুজো দিয়ে ফিরছিলো রাত ১২ টা নাগাদ তার বাড়ির কাছেই এটি রাধাকৃষ্ণ মন্দির থেকে। হঠাৎ ওই এলাকারই কিছু দুষ্কৃতী তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। ঘটনাস্থলে তার মা অজ্ঞান হয়ে যায়, এলাকাবাসী দু’জনকেই শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, মাকে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসার পর।

শুভাশিসকে সাথে সাথে স্থানান্তরকরণ করা হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় তার মাথায় এবং হাতে মোট ৫৫ টি সেলাই পড়ে। শুভাশিস বিশ্বাস এর বয়ান এবং অভিযোগ অনুযায়ী জানা যায় ওই এলাকার কালা মাহাতো এবং তার দলবল এর আগেও একবার বাড়ি ভাঙচুর ও অন্যবার বোমাবাজি করে। তোলাবাজির টাকা দিতে অস্বীকার করলে এই অত্যাচার করা হয়।

পেশায় শুভাশিস কাপড়ে মাড় দেওয়ার কাজ করে, এবং শাড়ির ছোট একটি ব্যবসা করে, কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনে তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবারে টাকা দিতে অস্বীকার করে ৪ দিন আগে। গতকাল রাতে সেই প্রতিশোধ নিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। এর আগেও একাধিক অসামাজিক কাজকর্মের সাথে যুক্ত কালা মাহাতো র নামে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো পুলিশি পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলেই জানা যায় বিশেষ সূত্র অনুযায়ী।

Related Articles