নদীয়ার শান্তিপুরে পঞ্চায়েতের দরজা এবং আলমারি ভেঙে সারারাত তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা, সরকারি নথি তছরুপের অভিযোগ দায়ের
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন শান্তিপুর থানার পুলিশ।
মলয় দে নদীয়া: -রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে গ্রাম পঞ্চায়েতে গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র চুরি করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। ছটি আলমারির তালা ভাঙা হলেও তালা খারাপ এমন চার-পাঁচটি আলমারি থেকেও বিভিন্ন সরকারি নথি ছড়ানো-ছিটানো। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।
সূত্রের খবর, আজ সকালে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মূল দরজা নয় পাশের একটি গ্রিলের দরজার তালা ভেঙে এবং অফিসে ঢোকার মূল দরজার তালা ভাঙ্গা অবস্থাই দেখতে পায় ওই পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী সুশীল বিশ্বাস। এর পরে খবর দেওয়া হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শোভা সরকার সহ বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের। খবর পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ছুটে আসে শোভা সরকার সহ অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মীরা।
তারা এসে দেখে পঞ্চায়েত অফিসের কম্পিউটার বা অন্যান্য কিছুর ক্ষতি না হলেও আলমারির ভিতরে রাখা বিভিন্ন সরকারি নথি ছড়িয়ে রয়েছে এলোমেলোভাবে। প্রায় প্রত্যেকটি আলমারির তালা ভাঙ্গা এবং টেবিলের বেশ কয়েকটি ড্রয়ার ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন শান্তিপুর থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত প্রধান শোভা সরকার বলেন, পঞ্চায়েত অফিসে কোন টাকা পয়সা ছিল না। দিনের শেষে প্রতিদিনের টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। প্রধানের অভিযোগ, গতকালকের নথিপত্র চুরি এবং কিছুদিন আগে পঞ্চায়ে কে জনসমক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য যে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তার যোগসাদৃশ রয়েছে।
এর পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তিনি মনে করেন এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট গোবিন্দ ঘোষ জানান এটা প্রতিহিংসামূলক বলেই মনে হচ্ছে আপাতত ! তবে নথিপত্র ছাড়া আরো অন্য কিছু চুরি হয়েছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনো কেউ আটক কিংবা গ্রেপ্তার হয়নি।