নিউজবিনোদন

দেবলীনার মা দুর্গাপুজোয় গরুর মাংস রান্না করেন? বিস্ফোরক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ

Advertisement
Advertisement

অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত এবং সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষী মন্তব্য করায় এদিন পথে নামলেন বুদ্ধিজীবী সমাজ। সেই মিছিলে যেমন ছিলেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা, তেমনই ছিলেন শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই সভায় দেখা গেল না অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। কেন একজন অভিনেতা হয়েও সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন না তিনি? এই প্রশ্ন করায় তিনি উত্তর দেন, “দেবলীনা দত্ত সম্বন্ধে যদি কোন নারী বিদ্বেষী মন্তব্য করা হয়ে থাকে তাহলে সে প্রসঙ্গে আগে সাইবার সেলে অভিযোগ করা উচিত। সেখান থেকে কি কোনো সুরাহা মেলেনি? তবে রাস্তায় নামার ঘটনা ঘটেছে কেন?”

তিনি আরো জানান, “দেবলীনা দত্ত যেভাবে গোটা দেশের সামনে টেলিভিশনে পুজোর সময় গরুর মাংস রান্না করার কথা বলেছেন তাতে আমাদের দেশের একটি বিরাট মানুষ তাঁদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছেন। সেই বিরাট অংশের মানুষরা যে শুধুমাত্র বিজেপির সাথে সংযুক্ত এটা ভাবলে ভুল করা হবে। শুনলাম অভিনেত্রীর বৃদ্ধা মা আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। তিনি নিজেও পুজোতে গরুর মাংস কোনদিন রান্না করার কথা ভেবেছেন? জিজ্ঞেস করুন তাঁকে।” সাংবাদিকদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন রুদ্রনীল।

তাঁর নিজের মিছিলে অনুপস্থিত থাকার সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “আমার কাছে এমন কোন মিছিলের খবর আসেনি। তাই আমি অনুপস্থিত ছিলাম।” তিনি আরো জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ ক্রমাগত ট্রলের শিকার হতেই থাকেন। কিন্তু তা নিয়ে আগে সাইবার সেলে অভিযোগ জানানো উচিত। তারপরও সুরাহা না মিললে তখন পথে নামার কথা ভাবা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ তিনি জানান, দিন কতক আগে তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সাথে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তাতে অভিনেতার বানান ভুল থেকে শুরু করে তার দল বদল নিয়ে বিভিন্ন রকম কটাক্ষমূলক মন্তব্য চলে আসছিল।

কিন্তু তা নিয়ে টুঁ শব্দটিও করেননি রুদ্রনীল। তিনি জানান, “আমি জানি ভোটের আগে এই জিনিসগুলো খুব স্বাভাবিক। ভোট চলে গেলে মানুষ আবার আমাকে অভিনেতা হিসেবেই দেখবে। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নয়। কাজেই শুধু শুধু এটা নিয়ে উত্তেজিত হওয়ার কোনো মানে হয় না।” তিনি আরো বলেন, দেবলীনা দত্তকে যদি কেউ ধর্ষণের হুমকি দিয়ে থাকে, তবে তা রীতিমত অন্যায়। এমনকি তাকে কেউ চড় মারার কথা বললে সেটাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশ এবং প্রশাসনের উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সেটা না করে আগেই রাস্তায় নামার কথা আসছে কেন?

Related Articles