সেল্ফ মেড বিজনেসম্যান বলতে যা বোঝায়, রতন টাটা হলেন তেমনই একজন মানুষ। পৈত্রিক সূত্রে উপাধিটুকু ছাড়া কিছুই পাননি। পুরোটাই নিজের চেষ্টায়। তাই বারবার তার জীবনের কথা বলতে গেলে উঠে আসে ঠাকুমা নবজিবাইয়ের নাম।
খুব অল্প বয়সে বাবা মার বিবাহ-বিচ্ছেদ সহ্য করার পর ঠাকুমা তাঁকে মানুষ করেন। ১৯৪৮ সালের রতন তখন মাত্র দশ বছর বয়সী। তাঁকে ও তাঁর ভাইকে কখনই বাবা মাযের অভাব বোধ করতে দেননি ঠাকুমা।
জীবনপাঠের শিক্ষাদানও ঠাকুমার থেকেই পাওয়া। তিনি জানান, ঠাকুমাই তাঁকে শিখিয়েছিলেন, মর্যাদা রক্ষাই একমাত্র পথ। এমনকি বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর মায়ের দ্বিতীয় বিবাহ নিয়ে কথা শুনতে হতো ছোট্ট রতনকেও। উত্তর তিনি দিতেই পারতেন, কিন্তু ঠাকুমা শিখিয়েছিলেন কখন চুপ করে থাকা উচিত আর কখন উচিত কথা বলা।
তিনি আরও জানান, জীবনের সিদ্ধান্তেও পাশে ছিলেন ঠাকুমাই। তাঁর বাবা চাইতেন, তিনি ভায়োলিন শিখুন, অথচ তাঁর ভালোবাসা ছিলো পিয়ানো। বাবা পড়াতে পাঠাতে চাইতেন ব্রিটেনে অথচ তিনি যেতে চাইতেন আমেরিকায়। সব সিদ্ধান্ত সম্মান করে সাথে থেকেছে তাঁর ঠাকুমাই। জানালেন রতন টাটা।