দেশনিউজ

করোনা আবহে খুলছে স্কুল, নতুন নিয়মে হবে পঠন-পাঠন! প্রস্তুতি শুরু শিক্ষা মন্ত্রকের

সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই স্কুল-কলেজ খোলার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের সঙ্গে বৈঠকও করে ফেলেছেন শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ৷

Advertisement
Advertisement

দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আজ সর্বাধিক সংক্রমণ ঘটেছে দেশে। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংক্রান্ত ‘এসওপি’তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই স্কুল চালু করতে চাইছে শিক্ষা মন্ত্রক। তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ঘোর আপত্তি অভিভাবক ও শিক্ষা মহলের। যদিও বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র চাইছে, প্রথমে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠন পাঠন চালু করা হোক। সেক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম কানুন থাকবে। যেমন- কোনও একটি শ্রেণির সমস্ত পড়ুয়া এক দিনে ক্লাস করতে পারবে না। টানা ৭-৮ ঘণ্টা স্কুল হবে না, তার পরিবর্তে ২-৩ ঘণ্টার ক্লাস করাই এখন করা হবে। দরকার পড়লে ক্লাসগুলিকে একাধিক পর্যায়ে ভেঙে নেওয়া হতে পারে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই স্কুল-কলেজ খোলার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের সঙ্গে বৈঠকও করে ফেলেছেন শিক্ষা মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ৷ স্কুল খোলার এত তাড়াহুড়োর কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে যে,যেসব রাজ্যগুলিতে করোনার প্রকোপ কম, সেই রাজ্যের সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে দ্রুত স্কুল খোলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্ণাটক, রাজস্থান-সহ একাধিক রাজ্য জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের গোড়াতেই স্কুল চালু করতে চায়। যদিও পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি।

আসলে স্কুল খোলা নেই বলে অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে প্রবল সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের। আর তাই দ্রুত স্কুল খোলার আবেদন করেছে বেশ কিছু রাজ্য। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুলে থাকা কালীন কড়া ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীদের। দেশের যে রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ কম, সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে স্কুল চালু হবে। কেন্দ্র এটাও জানিয়েছে, কোনও রাজ্য চাইলে আরও কিছুদিন স্কুল বন্ধ রাখতে পারে। প্রথমে দুসপ্তাহ স্কুল চলার পর পরিস্থিতির উপর বিচার বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। তবে এই পরিস্থিতিতে কতজন পড়ুয়া স্কুলে হাজির থাকবে, তা নিয়ে বেশ সন্দেহ থাকছে।

Related Articles