করোনা মহামারী থাকলেও এইবছরও ব্যতিক্রম হয়নি। দিওয়ালি উৎসব সীমান্তে সেনাবাহিনীদের সাথেই কাটান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেইবছর থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, সেবছর থেকেই এই দিওয়ালির দিন সেনাদের সাথেই কাটান প্রধানমন্ত্রী। এদিন জওয়ানদের মিষ্টিমুখ করান মোদী, তবে এর পাশাপাশি তিনি জওয়ানদের সাথে আলাপ-আলোচনাও করেন।
দেশের মানুষ যখন আনন্দে খুশিতে পরিবারের সাথে দিওয়ালি কাটাতে ব্যস্ত থাকে তখন পরিবারকে ছেড়ে দেশের মানুষকে পাহাড়া দেন ভারতীয় সেনাবাহিনীরা। আর তাই খুশির এই দিনটি উদযাপিত করবার জন্য প্রত্যেকবছর উৎসবের সময় কোনও না কোনও সীমান্তে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। সেনাদের মনোবল বৃদ্ধি করবার জন্য মোদী এইদিন তাঁদের সাথে সময় কাটান।
আজ সকালে বিশেষ বিমানে জয়সলমেরে পৌঁছনোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর৷ নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানানোর জন্য ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা এবং বিএসএফ-এর শীর্ষ কর্তারা সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন৷ আজ সকালে সমগ্র দেশবাসীকে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি ট্যুইটারে লেখেন, ‘প্রত্যেক দেশবাসীকে দীপাবলির শুভকামনা জানাই৷ এই উৎসব আরও খুশি এবং উজ্জ্বলতা নিয়ে আসুক, এই কামনা করি৷ সবাই সুস্থ থাকুন, প্রত্যেকের জীবনে সমৃদ্ধি আসুক৷’
ট্যুইটারে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি তিনি দীপাবলির দিন দেশের জওয়ানদের সম্মানে একটি করে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি দিওয়ালিতে সিয়াচেনে গিয়েছিলেন। আর এরপর উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব এবং জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন ফরওয়ার্ড বেসে গিয়েছিলেন মোদী।