পায়েল গাঙ্গুলি: সম্প্রতি বহু প্রতিক্ষার শেষে অযোধ্যা বিতর্কিত জমিতে সম্পন্ন হলো রাম মন্দিরের ভূমি পুজো। রাম মন্দির নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই দেশবাসীর। রাম মন্দির তৈরীর জন্য হাত বাড়িয়েছে সকল দেশবাসী। ইতিমধ্যেই রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট নামে এক তহবিল তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে বেশ কিছু আগে থেকেই টাকা জমা হতে শুরু করে। বর্তমানে রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের তহবিলে জমা পড়েছে ৪১ কোটি টাকা।
কিছুদিন আগেই বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়ে গেল রামমন্দিরের। আর থাকলো না বাধা। তৈরি হল এক নয়া যুগের। অন্যদিকে, রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে। রাম মন্দির তৈরি ক্ষেত্রে অনলাইনেও অনুদান দিচ্ছেন ভক্তরা। মনে করা হচ্ছে পাঁচ হাজার মানুষ এখনও পর্যন্ত এই পদ্ধতিতে টাকা দান করেছেন মন্দির তৈরিতে। মন্দিরের তরফ জানানো হয়েছে, যে কোন ধর্মের যে কোন বর্ণের মানুষই রাম মন্দিরের জন্য অনুদান দিতে পারেন। মানুষ নাকি ১১ টাকাও দান করেছেন। তবে তাতে আপত্তি নেই মন্দিরের যার যা সাধ্য সেটাই অনুদান করুক এটাই চায় মন্দির। বড় অঙ্কের অনুদানগুলি চেক বা ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আসছে।
এই প্রসঙ্গে ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ স্বামী গোবিন্দ দেব গিরি জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের তহবিলে ৩০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। সেদিনই ১১কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন মুরারি বাবু। ফলে আপাতত ৪১ কোটি টাকা রয়েছে। তবে, বুধবারের মন্দিরের ভূমি পুজোর অনুদান এর মধ্যে ধরা হয়নি। সেদিন বহু ধর্মীয় গুরুরা অনুদান করেন। তার মধ্যে অন্যতম পরমার্থ নিকেতনের স্বামী চিদানন্দ সরস্বতী, জুনা আখড়ার স্বামী অভধেশানন্দ গিরি, বাবা রামদেব ও অন্যান্যরা। ট্রাস্ট সূত্রে খবর,তবে আরও ৫-৭ কোটি টাকা তহবিলে জমা পড়ত।যদি প্রবাসী ভারতীয়দের থেকে অনুদান নেওয়া হতো। প্রবাসী ভারতীয়দের থেকে অনুদান নেওয়া হচ্ছে না। কারণ এতে ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের আওতায় অপরাধ করা হবে।
প্রসঙ্গত,অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির পক্ষেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তাই ৫ অগাস্ট মন্দির নির্মাণের জন্য ভূমি পুজো সারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন ৪০ কেজির রুপোর ইট পুঁতে ভূমিপুজোর উদ্বোধন হয়। রাম মন্দির তৈরি নিয়ে বিতর্কের শেষ ছিলনা। অবশেষে ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতেই হবে রামমন্দির। শুরু হয়ে গেল সে নির্মাণ কাজ। সেদিন পুজোয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মোহন ভগবত। এছাড়াও ছিলেন সাধু-সন্তরা। বুধবার মাত্র ৩২ সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয় পূন্য লগ্ন।