নিউজরাজনীতিরাজ্য

‘তোলাবাজ ভাইপো হটাও’, পদ্মাসনে বসেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটালেন শুভেন্দু অধিকারী

Advertisement
Advertisement

প্রত্যাশা মতোই গেরুয়া শিবিরে সামিল হলেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহের উপস্থিতিতে নতুন রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করার সাথে সাথেই পা রেখেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। নাম না করেই তোপ দাগলেন তৃণমূলের যুবরাজের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে এদিনের সভা থেকে নতুন বিজেপি নেতা দাবি তুললেন, “তোলাবাজ ভাইপোকে হটাতে হবে।” তৃণমূলের বিরুদ্ধে এতদিনের যাবতীয় চাপা ক্ষোভ এদিন প্রকাশ পেল। মোদীর বিশ্বস্ত সেনাপতি অমিত শাহকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করলেন। প্রকাশ করলেন কৃতজ্ঞতা। অভিমানের সুরে বললেন, “আমি যখন কোভিড আক্রান্ত, তখন দলের কেউ খোঁজ নেননি, কিন্তু উনি খোঁজ নিয়েছিলেন।”

ঠিক এভাবেই তৃণমূল ছাড়ার আগে যাবতীয় অভিমান ৬ পাতার খোলা চিঠিতে জানান। ‘প্রিয় অনুগামী’ সম্বোধন করে লেখেন যে, যাঁরা নিজেদের রক্ত জল করে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে তৃণমূল তৈরি করেছিলেন, তাঁরাই এখন দলের সাইডলাইনে, দলে সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা। গুরুত্বই পাননি। খোলা চিঠিতে অভিযোগ করেন তৃণমূলে পচন ধরেছে।

সম্প্রতি শুভেন্দু তাঁর সহকর্মীদের জানিয়েছিলেন, “আমি তৃণমূল ছাড়ছি না। তৃণমূল তার নিজের লক্ষ্যচ্যুত হতে পারে, ক্ষমতায়নে জোর দিতে পারে। কিন্তু বিবেকবান ব্যক্তি হয়ে আমার বিবেক থেকে সে পথে হাঁটা সম্ভব না।” বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন বিজেপির মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। তুলে ধরার চেষ্টা করেন দলের সঙ্গে সংহতির ছবি।

তৃণমূলের সাথে দূরত্ব হওয়ার পরেই জল্পনা ছিল দল বদলে শুভেন্দুর গেরুয়া শিবিরে যাবেন। এখন জল্পনা গেরুয়া শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হতে পারে তাঁকে। অমিত শাহ নিজেও এদিন ইঙ্গিত দিয়ে সেই জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন। কিন্তু শুভেন্দু সেই বিতর্কে যেতে চান নি। সংবাদমাধ্যমকে বললেন, “সকলকে আশ্বস্ত করছি, শুভেন্দু সাধারণ কর্মী হিসেবেই কাজ করবে। কারও উপর মাতব্বরি করতে দেখা যাবে না আমাকে। আমাকে পতাকা লাগাতে বললে, তাইই করবো। পার্টি যা নির্দেশ দেবে, সেটাই যথাযথ ভাবে পালন করবো। আমার কাছে পার্টির সব কাজই সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সব কাজই গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করি।” তাঁর আশা আমাদের রাজ্যকে আর্থিক সমস্যার থেকে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই উদ্ধার করতে পারবেন।

Related Articles