মে মাস থেকেই উত্তেজনা তুঙ্গে ভারত-চিন সীমান্তে। গত কয়েক মাসে বারবার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর। কিন্তু যে আশঙ্কা অনুমান করা হচ্ছিল, শেষমেশ সেটাই হল। ভারতীয় সেনা আরও একবার ব্যর্থ করে দিল চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা। সিকিমের নাকু-লায় তিনদিন আগে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওই এলাকায় আগে থেকেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা।
জানা গিয়েছে, নাকু-লায় ফের হাতাহাতি হয় ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে। আর তাতে গুরুতর আহত হয় ২০ জন চিনা সেনা বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, আহত হয় ভারতীয় সেনার চার জওয়ানও বলে খবর। আপাতত পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর।
চিনা সেনার দিকে তারা এখনও নজর রেখেছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। একইভাবে প্রতিহত করা হবে এর পরেও তারা কোনওরকম কাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা করলে। এখন আবহাওয়া প্রতিকূল সিকিমের নাকু-লা সীমান্তে। তবুও ভারতীয় সেনা প্রতিটি পয়েন্টে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে।
রবিবার দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা বৈঠকে বসেছিলেন ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। সেই বৈঠক চলে গভীর রাত পর্যন্ত। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ডি-এক্সেলেশন প্রক্রিয়ায় চিনকে এগোতে হবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে ১৫ ঘণ্টা ধরে চলা সেই বৈঠকে। ভারতীয় সেনা এছাড়া বেশ কিছু এলাকায় ডিসএনগেজমেন্ট-এর প্রস্তাবও দিয়েছে। চিন নিজেদের ১০ হাজার সেনা সরিয়েছে পূর্ব লাদাখ থেকে। কিন্তু তারপরও তারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করল নাকু-লা পাস দিয়ে।