নিউজরাজ্য

৩৬ বছরের ছোট মেয়েকে বিয়ে করলেন বাংলার অধ্যাপক, জেনে নিন আসল কারণ

Advertisement
Advertisement

বয়স কোনো বাধা মানে না ফের প্রমাণ হলো শ্রীরামপুরের বড় বাগানের ঘটনায়। সমালোচকরা সমালোচনা করবেই। তা বলে কি পিছিয়ে থাকবে ইচ্ছে! একদমই না। ভালো লাগলে যে কোনো বয়সে করা যেতে পারে বিয়ে। আর তাই ৭২ বছর বয়সে ৩৬ বছর বয়সী কনের সাথে ফের গাঁটছড়া বাঁধলেন পেশায় কলেজ শিক্ষক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ।

জানা যাচ্ছে,অনেকদিন আগেই স্ত্রী মারা গিয়েছেন সমরেন্দ্রনাথ ঘোষের। অন্যদিকে বিদেশে থাকে তার মেয়ে। ফলে একা একাই দিন কাটে তার। ২২ বছর ধরে তিনি রিষড়া বিধানচন্দ্র কলেজে বাংলার অধ্যাপক ছিলেন। অবসর নিয়েছেন ২০০৮ সালে। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর বর্তমানে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় বেসরকারি বিএড কলেজের অধ্যক্ষ পদে আছেন। কিন্তু তিনি একাকীত্বে ভুগছিলেন। আর তাই একাকীত্ব কাটাতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। বেশ কয়েক মাস আগে সংবাদপত্রে বিবাহের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই রিষড়ার বাসিন্দা ইরা রায়ের সঙ্গে ২৭শে জুলাই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন তিনি। তবে পুরোহিতের বিয়ে নয় রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন তারা।

এবার আসা যাক কনের বিষয়ে ৩৬ বছর বয়সী কনে ইরা রায় কলকাতার একটি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি।কিন্তু কয়েকবছর আগে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে মা ও মেয়ের অভাব-অনটনের সংসার। বিয়ের বিষয়ে ইরা জানান,’ভেবেছিলাম, বিয়ে করবো না। পরে এক আত্মীয় কাগজে বিজ্ঞাপনের কথা জানান। সব দেখে মনে হল, সঠিক সুযোগ এসেছে। এমন শিক্ষিত, রুচিশীল, মানুষই চেয়েছিলাম। আমি খুশি’।তবে বেশ কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন ইরার বাবা।

বিয়ের প্রসঙ্গে সময়ের সমরেন্দ্রনাথ বলেন,’আমি আপাতত সুস্থ সবল। তবে, ভবিষ্যতে অসুস্থ হলে অথবা পরিস্থিতি খারাপ হলে পাশে কেউ থাকলে সুবিধা হবে। এতোদিন চাকরি করেছি, আমার অবর্তমানে স্ত্রী আমার পেনশন পাবেন। ফলে, তার দিন ভালোভাবেই চলে যাবে’। তিনি আরও বলেন, তিনি অভাব বোধ করছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীরা পরিচিতরা তাকে রান্না করে দিলেও লকডাউনের জেরে খুবই সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles