স্বাদ বাড়াতে পাউরুটিতে মহিলাদের প্রস্রাব মেশানো হয়, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
ফ্রান্সে ফ্রেঞ্চ লোফ বা গোল্ডিলকস ব্রেড এতটাই বিখ্যাত যে অনেকে বলেন ফ্রান্সে এসে ফ্রেঞ্চ লোফ বা গোল্ডিলকস ব্রেড না খাওয়া মানে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার না দেখেই বাড়ি ফিরে যাওয়া একই ব্যাপার। তবে প্যারিসের একজন জনপ্রিয় পাউরুটি প্রস্তুতকারক লুইজ রেজেট মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসে নিজের গোল্ডিলকস ব্রেডের রেসিপি জানিয়েছেন।
সাধারণত কোনো খাবার জিনিসের স্বাদ বাড়ানোর জন্য নানা জিনিস ব্যাবহার করে প্রস্তুকারকরা। কিন্তু লুইজ রেজেট, গোল্ডিলকস ব্রেডের স্বাদ বাড়াতে যা জিনিস ব্যাবহার করার কথা বলেছে তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। তিনি জানান,গোল্ডিলকস ব্রেডের স্বাদ বাড়াতে পাউরুটিতে মহিলাদের প্রস্রাব মেশানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘মহিলাদের প্রস্রাব পাবলিক টয়লেটগুলি থেকে সংগ্রহ করা হয়। তারপর জলের সঙ্গে ওই প্রস্রাব কুড়ি বার মেশানোর পর সর্বশেষে পাউরুটিতে মেশানো হয়।’ এই কথা ছড়িয়ে পড়তেই গোটা প্যারিসে শোরগোল পড়ে গেছে।
কিন্তু এই প্রস্রাব মেশানো ব্রেড এতদিন ধরে এত এত মানুষ কিভাবে খাচ্ছেন? এর উত্তরে লুইজ রেজেট বলেন, এটি একবারে ফেলে দেওয়ার মতো কথা নাও মনে হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘ আমাদের কাছে প্রস্রাব বজ্রপদার্থ হিসেবেই পরিচিত। প্রস্রাবে নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম ও অন্যান্য যেসব উপাদান রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। তাই প্রস্রাবকে বজ্রপদার্থ হিসেবে নয় সোনার খনি হিসেবে ব্যবহার করা উচিত।’
ফরাসি নগরোন্নয়ন বিভাগের গবেষণা থেকে জানা গেছে, প্রস্রাব থেকে পাওয়া সার ব্যাবহার করে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন কোটি ফ্রেঞ্চ লোফ প্রস্তুত করা সম্ভব। যার ফলে কমকরে ৭০০ টন কৃত্রিম সারের ব্যবহার কমানো সম্ভব। আর এমনটা হলে শুধু পরিবেশ বাঁচবে তা নয় খরচও কমবে।