করোনা মোকাবিলায় বর্তমানে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি গত ২৪ শে মার্চ থেকে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করেন যা ওঠার কথা ছিল গতকাল অর্থাৎ ১৪ ই এপ্রিল। কিন্তু তার আগেই প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকের আলোচনা করে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে দেন। প্রথমে ঠিক করা হয় লকডাউন থাকবে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত। পরবর্তীতে সেই তারিখ বদলে ৩রা মে করা হয়। রাজা এখন প্রথম পর্যায়ে লকডাউন শেষ হয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন চলাকালীন নিত্য জীবনের অনেক কিছুতে ছাড় দিয়েছে রাজ্য। কোন কোন পর্যায় স্বাভাবিক থাকবে সেই বিষয়ে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট শিল্প, কৃষি, দোকান বাজার, ফুলের বাজার ইত্যাদির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ম ক্ষেত্রে যে যে পরিসর গুলি লকডাউন আওতার বাইরে রাখা হয়েছে তা হল,
১: ডেপুটি সেক্রেটারি স্তরের আধিকারিকরা কাজ করবেন।
২: প্রয়োজনীয়তা বুঝে গ্রামীণ শিল্প চালু করা যেতে পারে।
৩: রাজ্যের সব কটি জুটমিলে কাজ শুরু করা যেতে পারে, তবে সেটা হবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে।
৪: ২০ এপ্রিলের পর একশো দিনের লাগাতার কাজ শুরু করা হতে পারে।
৫: ছোটো শিল্প ক্ষেত্রগুলি চালু করা যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা ক্ষেত্রের বিষয়ে কিছু ঘোষণা করল মুখ্যমন্ত্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়ে যাওয়া বাকি রয়েছে কিছু পরীক্ষা। বাকি পরীক্ষা জুন মাসে হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ প্রমোশন করে দেওয়া হবে। তবে কলেজ পড়ুয়ারা শুধুমাত্র কলেজে ফাইনাল সেমিস্টার দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার একটা করে এগিয়ে যাবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে সর্বদা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন অনেকে করোনার বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। অনেকে বলেছেন, রাজ্য করোনায় মৃতের সংখ্যা গোপন করে যাচ্ছে। করোনায় মৃত দের নিয়ে এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। এরকম বিভ্রান্তি যারা ছড়াবে তাদের গ্রেফতার করা হবে।