মাথা থেকে পা পর্যন্ত বোরখায় ঢাকা ইমরানা সাইফির। ভারতের দিল্লির নেহেরু বিহারের নবদুর্গা মন্দিরে গেলে চোখে পড়বে তাকে না তিনি কোন সাধারণ দর্শনার্থী নয়। তিনি একজন করোণা যোদ্ধা। করোনা ভাইরাসের ভয়ে সবাই যখন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তখন ইমরানা কাজ করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে। সকাল থেকেই তিনি সাফাইয়ের কাজ করে চলেন মন্দির-মসজিদ গুরুদ্বারে। সংক্রমনের এই সংকটকালে তরুণী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উত্তর দিল্লির নেহেরু বিহার।
এই দিল্লিতে মাস দুয়েক আগেও জাতিগত দাঙ্গায় চলেছিল রক্তক্ষয়ী সঘর্ষ। সেখানে করোনা ভাইরাসের মধ্যেও অসাম্প্রদায়িক সমাজের মূর্ত প্রতিচ্ছবি হয়েছেন ইমরানা সাইফি। করোনামুক্ত রাখতে আশেপাশে মন্দির মসজিদ রাস্তা নিজ হাতে জীবনুনাশক স্প্রে করছেন। ধর্ম বর্নের পার্থক্য ভুলে তাকে এই কাজে সাহায্য করেছেন স্হানীয় মন্দির ও গুরুদ্বার ও কমিটির প্রতিনিধিরা।
সপ্তম শ্রেণীর পড়ার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি, তবে মানবতার পাঠ তিনি পড়েছেন। তাই এই সংকটের মুহূর্তে মানুষের পাশে থাকতে উদ্যোগ নিয়ে করোনা যোদ্ধাদের একটা দল তৈরি করেছে, এই দলের মোট তিনজন সদস্য তারাই এখন ঘুরে ঘুরে এলাকা সাফের কাজে হাত লাগাচ্ছেন প্রতিদিন।
তার বক্তব্য “আমি ভারতের সম্প্রীতি বজায় রাখতে চাই, আমি দেখাতে চাই আমরা সবাই একসঙ্গে আছি, একসঙ্গে বাঁচতে চাই।” তার এ উদ্যোগে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম বাধা আসেনি। নেহেরু বিহার দূর্গা মন্দিরের পুরোহিত পন্ডিত যোগেশ কৃষ্ণ জানিয়েছেন এই ধরনের পদক্ষেপ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উর্দ্ধে । এভাবেই আমাদের একে অপরকে সাহায্য করা উচিত । ঘৃনা বর্জন করে ভালোবাসার আশ্রয় নেওয়া উচিত।