আন্তর্জাতিকদেশনিউজ

শত্রুদের ওপর কড়া নজরদারি ও হামলা চালাতে অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন কিনছে ভারত

Advertisement
Advertisement

ভারত-চিন ঠান্ডা যুদ্ধের মাঝে ঢুকে পড়লো পাকিস্তান। পাকিস্থান ঢেলে সাজাচ্ছে তাদের অস্ত্রসস্ত্র। আর পেছন থেকে সাপোর্ট করছে চিন। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে চারটি অস্ত্রবাহী ড্রোন দিচ্ছে চিন। যদিও তাদের বক্তব্য দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডোর ও গোদার বন্দরে নজরদারি রাখতে এই ড্রোন ব্যবহার করা হবে।  কিন্তু প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে এর পিছনে রয়েছে অন্য এক উদ্দেশ্য। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের গোদার বন্দরে ঘাঁটি গেড়েছে চিনা নৌবাহিনী। সেই সঙ্গে চিনকে পাল্টা চাপে রাখতে ভারতও তৈরি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ড্রোন কেনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ভারত চিনের স্নায়ুযুদ্ধের মাঝে আরো কত দেশ জড়িয়ে আছে।

একটি নামী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রেউ খবর, চিন পাকিস্তানি সেনাকে দুটি ড্রোন সিস্টেম দিচ্ছে। প্রতিটি সিস্টেমে দুটি ড্রোন ও একটি গ্রাউন্ড স্টেশন আছে। ড্রোনগুলি বর্তমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত। জানা যাচ্ছে এই ড্রোনের সাহায্যে একসঙ্গে প্রায় ১২টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র বহন করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে অনেক উঁচু থেকেও নজরদারি চালাতে সক্ষম এই ড্রোন। ভারত চিন উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানি সেনার হাতে এই ড্রোন সিস্টেম আসায় কিছুটা হলেও চিন্তিত ভারত।

এদিকে মার্কিন ড্রোন কেনার জন্যও আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। জানা যাচ্ছে, নজরদারি ও হামলার জন্য ভিন্ন ধরনের ড্রোন চাইছে ভারতীয় সেনারা। শোনা যাচ্ছে, ভারত মার্কিন ড্রোন প্রেডেটর-বি কেনার জন্য আগ্ৰহ দেখিয়েছে। কেননা প্রডেটর বি ড্রোনগুলি সারাক্ষন নজরদারি চালাতে সক্ষম। যার ফলে সহজেই শত্রুর ঘরে ঢুঁ মেরে অনেক তথ্য হাতে পাবে সেনারা। জানা গিয়েছে, প্রেডিটর বি ড্রোনগুলো লেজার বোমা বা মিসাইল দিয়েও টার্গেটের ওপর আঘাত হানতে সক্ষম। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই ভারতীয় সেনারা এই ড্রোন হাতে পেতে চলেছে। অন্যদিকে ভারতীয় নৌবাহিনী MQ-9 Reaper কেনার জন্য আগ্ৰহ দেখিয়েছে। এই MQ-9 Reaper গুলি সহজেই মিসাইল এবং ৫০০ পাউন্ডের লেজার বোমা নিয়ে উড়তে সক্ষম। এই MQ-9 Reaper গুলি ইরাক-সিরিয়া যুদ্ধেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলো। যে কারনে এই এয়ারক্রাফট গুলি ভারতীয় সেনারা হাতে পেলে চাপে পড়বে চিন ও পাকিস্তান।

Sangbad Safar Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles