সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৮১ দিন পর এনসিবির জেরার মুখে সব শিকার করে সুশান্ত বান্ধবী রিয়া। ড্রাগ ও নিয়মিত মাদক সেবন করার অপরাধে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এনসিবির জেরার মুখে বিস্ফোরক বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন রিয়া।এরই মাঝে এবার সুশান্তকে কে ধরিয়েছে মাদকের নেশা ফাঁস করলেন রিয়া চক্রবর্তী।
সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু তদন্তে নেমে মাদকচক্রের হদিস পায় তদন্তকারীরা। NDPS আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় রিয়া তাঁর দোষ কবুল করায় গ্রেফতার হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। বর্তমানে বাইকুলা জেলে দিন কাটছে অভিনেত্রী রিয়ার। ইতিমধ্যেই বলিউডের বেশ কয়েকজন তাবড় তাবড় সেলেবদের নাম নিয়েছে রিয়া যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত।
এইসবের মাঝেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জিজ্ঞাসাবাদে রিয়া দাবি করেন, সুশান্তকে মাদকের নেশা ধরান ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রথম সারির অভিনেতা। আর সেই মাদকের পার্টির আয়োজন হতো সুশান্তের লোনাভলার পাবনা লেকের বাগান বাড়িতে। তবে অভিনেত্রীর রিয়ার দাবি, সেখানে কখনও তিনি হাজির হননি। রিয়ার অভিযোগ, বিভিন্ন অভিনেতারা হাজির হতেন ওই পার্টিতে। লোনাভলায় সেখানে গাঁজা, কোকেন, এলএসডি-র মতো বিভিন্ন কড়া মাদকের ব্যবহার করা হত। সুশান্তকে ওই পার্টিতেই মাদকের নেশা ধরান এক প্রথম সারির অভিনেতাই। এমনকি ইন্ডাস্ট্রির এক বড় মাপের পরিচালকের সঙ্গেও সুশান্তের ওই মাদক পার্টিতেই পরিচয় হয় দাবি রিয়ার। রিয়ার আরও দাবি সে নাকি সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে মাদকের নেশায় আসক্ত হন। কিন্তু রিয়ার বাড়ি তল্লাশি করে যে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান থেকে প্রকাশ্যে আসে ২০১৬-১৭ সাল থেকে মাদকের নেশায় আসক্ত ছিল রিয়া।
অভিনেত্রীর এইসব দাবিতে রয়েই যাচ্ছে একটা প্রশ্ন। অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী দাবি করেছেন তিনি কখনও সুশান্তের লোনাভলার বাগান বাড়ির পার্টিতে যাননি। কিন্তু সম্প্রতি সুশান্তের বাগান বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে নৌকা চালককে রাখা হয়েছিল তিনি দাবি করেন, রিয়া সেখানে প্রায়শই সুশান্তর সঙ্গে যেতেন। তাহলে কি মিথ্যা কথা বলছেন রিয়া চক্রবর্তী? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোন গল্প যদিও তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে, বর্তমানে জেলে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছে অভিনেত্রী রিয়ার। নেই সিলিং ফ্যান, নেই খাট এমনকি নেই মাদুর, বালিশ চাদর পর্যন্ত। নরম পালঙ্ক ছেড়ে এখন জেলের মাটিতে চাটাই পেতেই রাত কাটাতে হচ্ছে রিয়াকে। খুব কষ্ট করে তোকে ঘুমোতে হচ্ছে। জেল কর্তৃপক্ষর তরফে জানানো হয়েছে, যদি আদালত সম্মতি দেয় তবেই ফ্যানের ব্যবস্থা করা যাবে নয়তো নয়। পিৎজা পাস্তা মুখরোচক খাবার ছেড়ে রিয়াকে খেতে হচ্ছে দুধ, রুটি।
