কিছুদিন আগেই সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিকে গত ৮ তারিখ থেকে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খুলে গিয়েছে রাজ্যের সমস্ত সরকারী দপ্তর। দেশজুড়ে এমনিতেই ভয়াবহ পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে। ১ লা জুন থেকে চালু হয় আনলক- ১ (ওয়ান) আর তারপরেই দেশে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটতে থাকে।
কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সমস্ত সরকারী দপ্তর, পুরসভা, পঞ্চায়েত সব কিছুর ক্ষেত্রে ৮ তারিখ থেকে কর্মীদের অফিসে যেতে হবে এবং সমস্ত কর্মীকে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন অফিস করতেই হবে। কিন্তু রাজ্যে গন পরিবহন ঠিকঠাক চালু না থাকায় অর্থ্যাৎ ট্রেন, মেট্রো চালু না হওয়ায় ও অল্প কিছুসংখ্যক বাস চলার কারনে সবাইকে ভিড় বাসের মধ্যেই যাতায়াত করতে হচ্ছে, যা এই পরিস্থিতিতে খুবই ভয়াবহ। এই ভিড় রুখতে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এবার দুটি শিফটে সরকারী অফিস হবে।প্রথম শিফট হবে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত এবং আরেকটি শিফট হবে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। এই শিফট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শিফ্ট করার ফলে বাসে ভিড় হবে না। হাতে সময়ও পাওয়া যাবে।’’ শুধুমাত্র সরকারী অফিস নয়, বেসরকারি সংস্থাগুলোকে ও শিফট করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে যানবাহনের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি বাস মোট ৫০০০ বাস চালানো হচ্ছে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মেট্রো নেই, লোকাল ট্রেন নেই, এখন সব বন্ধ। সরকারি আর বেসরকারি বাসের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আর কিছু গাড়ি। একটা সমস্যা হচ্ছে।’’