সম্প্রতি বিতর্কিত লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই সূত্র ধরে দুই দেশের সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। কোন ধরনের সংঘর্ষ না জড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করলেও লাদাখ সীমান্তে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ভারতের 20 সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। কিন্তু এবার আর পড়ে পড়ে মার খাওয়ার দিন শেষ, ভারত পাল্টা মার দেবে, সময় পাল্টাবে কারন চীন সীমান্তে ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিল এবার কেন্দ্র।
লাদাখে গালোয়ান উপত্যকায় চীন-ভারত সংঘর্ষ নিয়ে গতকাল রাতে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
এছাড়াও ক্যাবিনেট মিটিংয়ে ছিলেন ভারতীয় সেনার চীফ জেনারেল এম এন নারাভানে। বুধবার নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনের আগ্রাসনের ক্ষেত্রে তা মোকাবিলা করতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিল কেন্দ্র।
শান্তি বজায় রাখার সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা করা হলেও সীমান্তে ভারতের এলাকায় চীনের কোনরকম প্রবেশ ও আগ্রাসন মেনে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারত। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী এবার নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ভারতীয় সেনাদের দেয়া হল অনুমতি। সূত্রে খবর রাত দশটা নাগাদ মন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তের উত্তেজনা পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা চলে আর তারপরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।